সিলেটে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৫০
আপডেট: ২০১৬-০২-১২ ১৪:৫১:৩৫
সিলেটের সদর উপজেলায় দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে পুলিশসহ অর্ধশত লোক আহত হয়েছেন।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সোনাতলা বাদাঘাট এলাকায় সোনাতলা, মইয়ারচক গ্রামবাসী ও মগলগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম টুনু লোকজন মধ্যে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে সোনাতলা, মইয়ারচক, বাদাঘাট এলাকায় ঢাকাস্থ ইউনাটেড নামের একটি কোম্পানী জমি ক্রয় করে আসছে। ওই কোম্পানির মধ্যস্থতাকারী হলেন মগলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম টুনু। কিন্তু গত ডিসেম্বর মাসে সোনাতলা গ্রামের কিছু লোকের সঙ্গে জমি ক্রয় নিয়ে ঝামেলা বাধে।
এর জের ধরে গত ২৮ ডিসেম্বর টুনু চেয়ারম্যান কয়েকশত লোকজন নিয়ে সোনাতলা-বাদাঘাত প্রকল্প এলাকায় মহড়া দেন। এ সময় সোনাতলা গ্রামবাসীও সংঘবদ্ধ হয়ে অবস্থান নেয়। তবে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও পুলিশের মধ্যস্থতায় ওই দিন কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। পরদিন ২৯ ডিসেম্বর বাদাঘাট এলাকায় সোনাতলা, মইয়ারচক গ্রামের উদ্যোগে একটি প্রতিবাদসভার আয়োজন করা হয়। ওই সভা থেকে সোনাতলা এলাকায় টুনু চেয়ারম্যানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
আজ শুক্রবার সকালে টুনু চেয়ারম্যান দলবল নিয়ে সোনাতলা বাদাঘাট এলাকায় একটি ঘর নির্মাণ শুরু করেন। একপর্যায়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সোনাতলা ও মইয়ারচক গ্রামের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে ঘর নির্মাণে বাধা দেয়। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে টুনু চেয়ারম্যানের লোকজন পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে জালালাবাদ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় গ্রামবাসীকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল, ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তবে এলাকাবাসীও পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর গ্রামবাসী পিছু হটে। এ সময় ৬ পুলিশসহ প্রায় অর্ধশত আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংঘর্ষের কথা স্বীকার করেন।
সানবিডি/ঢাকা/আহো