নতুন উচ্চতায় ডিএসই, পেপারলেস স্টক এক্সচেঞ্জ কার্যক্রম শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-০১-২৬ ২০:২৫:০৬
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ডিজিটাল পুঁজিবাজার গড়ার লক্ষ্যে পেপারলেস স্টক এক্সচেঞ্জ কার্যক্রম শুরু করেছে। এতে এখন থেকে চিঠি, ফাইলিং তথা কাগজপত্রের পুরো প্রথা বাদ দিয়ে ডিজিটাল বা অনলাইন পদ্ধতিতে কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) পেপারলেস ডিএসই শিরোনামে নতুন এ কর্যক্রোমের উদ্বোধন করেন ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয় নতুন এই যাত্রার ফলে এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে ডিএসইতে কাগজে চিঠিপত্রের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে। এরই মধ্যে ডিএসইর কিছু বিভাগে এর বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। যা ধীরে ধীরে সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে শুরু করবে।
যাত্রা শুরুর আগে পোপারলেস ডিএসই শীর্ষক আলোচনা হয়। এতে প্যানেল আলোচকরা বক্তব্য রাখেন। আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, ডিএসইতে আসার আগে শুনতাম এখানে শতভাগ অটোমেটেড সিস্টেম। কিন্তু পরে দেখলাম বাস্তবে তা নেই। তবে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন পুঁজিবাজারকে ডিজিটালাইজেশন করার জন্য অনেক কাজ করেছে।
তিনি বলেন, দেশের শেয়ারবাজার অনেক এগিয়েছে। তবে আরো অনেক দুর যেতে হবে। গ্রামগঞ্জে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের এসুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, পেপারলেস স্টক এক্সচেঞ্জ কার্যক্রম শুরু করেছে তা বাস্তবায়ন করতে পারলে সময় এবং শ্রম বাঁচলে। তবে ডাটা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কারন এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ চিঠি দেয়া হয়। এসব চিঠির গোপনিয়তা নিশ্চিত করা ডিএসই’র দায়িত্ব।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন পেপারলেস স্টক এক্সচেঞ্জ কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে কাজের গতি আসবে। এখন আর কোন ফাইল আটকে থাকবে না। দেশে না থাকলেও বিশ্বের যে কোন প্রান্তে বসে এখন কাজ পরিচালনা করা যাবে।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশেনের (ডিবিএ) সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, নতুন এ পদ্ধতি চালু করার মাধ্যমে ডিএসইসহ সব স্টেকহোল্ডারদের এক দিকে সময় বাঁচবে, অন্যদিকে বাঁচবে আর্থিক ব্যয়ও। কারণ এই ট্রাফিক জ্যামের শহরে চিঠি-পত্র আদান-প্রদান করতে প্রচুর সময় ও অর্থের ব্যয় হয়। পাশাপাশি কাগজপত্র কিংবা নথিপত্র জমা রাখতে আলাদা স্টোর রুম দরকার হয়। এখন থেকে এসবের দরকার হবে না। সব কিছুই হবে অনলাইনে। তবে এ ক্ষেত্রে পুরো সিস্টেমের নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ বিএসইসির সঙ্গে ডিএসইর এবং ডিএসইর সঙ্গে অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদান করা হয়। যার গোপনীয়তা খুবই জরুরি।
ডিএসইর এমডি তারিক আমিন ভূঁইয়া বলেন, ক্লাউডভিত্তিক অনলাইনে তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে আমরা পেপারলেস ডিএসইর যাত্রা শুরু করেছি। ক্লাউডভিত্তিক তথ্য আদান-প্রদান করলেও হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি আছে, তবে কম।
ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, বিশ্বের অন্য যে কোন দেশের তুলনায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ডিজিটাল কার্যক্রমের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। নতুন এ কার্যক্রমের মাধ্যমে জবাবদেহিতা ও দায়িত্বশীলতা বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভীর বলেন, পেপারলেস ট্রেডিং শুরু হয়েছে ১৯৯৮ সালে। এর পর বাজার উন্নয়নে সিডিবিএল গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে সিসিবিএল গঠন করার জন্য কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব পদক্ষেপ স্টক এক্সচেঞ্চ উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছে বলে তিনি মনে করেন।
পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন
Sunbd News–ক্যাপিটাল নিউজ–ক্যাপিটাল ভিউজ–স্টক নিউজ–শেয়ারবাজারের খবরা-খবর
এএ