সিলেটের পতিত জমি ব্যবহারে ২০০ কোটির প্রকল্প

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-০১-২৯ ১৪:৪৩:১৩


সিলেটের পতিত জমি ব্যবহারের লক্ষ্যে ২০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে প্রকল্প নিয়েছে সরকার। ‘আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে সূত্র জানিয়েছে, সিলেটের পতিত জমি ব্যবহার করে আধুনিক প্রযুক্তির বিস্তার ও শস্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন, কৃষকের আয় ও কর্মসংস্থান বাড়ানো এবং পুষ্টি ও সামাজিক ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যেই প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২০০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

সূত্র আরও জানায়, ২০২১ সালের জুনে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২৬ সালের জুন নাগাদ শেষ হবে। এতে সিলেট বিভাগের ৪টি জেলার ৪০টি উপজেলার মানুষ উপকৃত হবে।

পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে সিলেট অঞ্চলে পতিত জমি ব্যবহার করে আধুনিক প্রযুক্তির বিস্তার ও শস্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষকের আয় ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং পুষ্টি ও সামাজিক ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়নের উদ্দেশ্যেই এ প্রকল্প নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। যা সম্পতি একনেক-এর অনুমোদন পেয়েছে।

জানা গেছে, সিলেটের আয়তন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার। বছরে বৃষ্টিপাত প্রায় ৩ হাজার ৩৩৪ মিলিমিটার। প্রধান নদী সুরমা ও কুশিয়ারা। হাওড় আছে ৮২টি। সংরক্ষিত বনাঞ্চল ২৩৬ দশমিক ৪২ বর্গ কিলোমিটার। ভারতের খাশিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের কিছু অংশ এই জেলায় পড়েছে। কিছু ছোট পাহাড় ও টিলা রয়েছে এখানে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে জৈন্তাপুর (৫৪ মাইল), সারি টিলা (৯২ মাইল), লালখান টিলা (১৩৫ মাইল) ও ঢাকা দক্ষিণ টিলা (৭৭.৭ মাইল)। এসব টিলার প্রায় সব জমিই পতিত।

পরিকল্পনা কমিশন তার মতামতে প্রকল্পটি সম্পর্কে বলেছে, বৃহত্তর সিলেটের পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনা, জলবায়ুর ঝুঁকি এড়াতে সক্ষম লাগসই কৃষি প্রযুক্তি গ্রহণের মাধ্যমে শস্যের নিবিড়তা বাড়ানোর পাশাপাশি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিকরণে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এ কারণেই একনেকে অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই সিলেট অঞ্চলের বহু জমি পরিত্যক্ত রয়েছে। এর মধ্যে অনেক জমির মালিকরা দেশে থাকেন না। গুরুত্ব বিবেচনায় প্রকল্পটি একনেকের অনুমোদন পেয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে এসব জমিতে উৎপাদিত ফসল জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।

সানবিডি/এনজে