বাংলাদেশে অর্ডার বাতিল

পাকিস্তানের পোশাক রফতানি ৪০ শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০১-৩১ ১৬:১২:৫৬


মহামারি করোনার প্রকোপের সময় দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ এবং ভারত থেকে রফতানি আদেশ স্থানান্তরিত হয়ে যাওয়ায় ফুলে-ফেঁপে উঠছে পাকিস্তানের টেক্সটাইল শিল্প। বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশ এবং ভারত থেকে ক্রয়াদেশ বাতিল করে পাকিস্তানের দিকে ঝুকে পড়ায় দেশটি তৈরি পোশাক রফতানির রেকর্ড গড়ছে।

এ বিষয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ভঙ্গুর প্রায় অর্থনীতিতে চাঙ্গাভাব ফিরিয়ে আনছে দেশটির টেক্সটাইল খাত। মহামারিতে দক্ষিণ এশীয় প্রতিদ্বন্দ্বীদের আদেশ বাতিলের সুযোগে রফতানি রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে দেশটি।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাণিজ্য উপদেষ্টা আব্দুল রাজাক দাউদ বলেছেন, দেশটির রফতানি এক বছর আগের তুলনায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে রেকর্ড ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রফতানির এই রেকর্ড দেশের দুর্বল অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলবে।

তিনি বলেন, পরবর্তী আর্থিক বছরে রফতানির এই চিত্র বৃদ্ধি পেয়ে ২৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে; যা দেশটির ২০২১ সালের মোট রফতানিকে ছাড়িয়ে যাবে। পাকিস্তানের মোট রফতানির প্রায় ৬০ শতাংশই টেক্সটাইল শিল্পের— মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের ডেনিম জিন্স থেকে তোয়ালে পর্যন্ত সবকিছুই রফতানি করে দেশটি।

২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর ভারত এবং বাংলাদেশের আগে কারখানা খুলে দেয় পাকিস্তান। এর ফলে টার্গেট করপোরেশন এবং হ্যানসব্রান্ডের মতো বৈশ্বিক বিভিন্ন ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানের ক্রয়াদেশ পায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের এই বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন, আসলে বাংলাদেশ এবং ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণ অর্ডার পাকিস্তানে স্থানান্তরিত হয়েছে।

তিনি বলেন, আরেকটি ভালো দিক হচ্ছে আমরা এখন বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছি। তিন-চার বছর আগেও রফতানিতে বাংলাদেশ আমাদের হারিয়ে দিয়েছিল।

এছাড়া পাকিস্তানের সরকার আগামী মাস থেকে আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা এবং মধ্য এশিয়ার বাজারে রফতানির জন্য প্রণোদনা ঘোষণার পরিকল্পনা করছেও বলে জানিয়েছেন তিনি।

দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় ট্যাক্স বিরতি, সস্তা ঋণ ও বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে পাকিস্তান তার রফতানি বাড়াচ্ছে। ২০১৮ সাল থেকে মার্কিন ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার ৬০ শতাংশ পতনেও রফতানি বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে।

সানবিডি/এনজে