এপ্রিল থেকে ছাপা হবে না দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট
আপডেট: ২০১৬-০২-১৩ ১১:৩৫:১৩
১২০ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে রাজত্ব করেছে দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকা। যুক্তরাজ্যের জাতীয় নীতি-নির্ধারণে অনেক ভূমিকাও রেখেছে ওই দৈনিক পত্রিকাটি। বর্তমান বাজারেও এর চাহিদা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। তবু বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ওই পত্রিকার প্রিন্ট ভার্সন। গতকাল শুক্রবার পত্রিকাটির মালিকপক্ষ ইএসআইডি মিডিয়ার পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঘোষণায় জানানো হয়েছে, আগামী ৩১ মার্চে দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের শেষ সংখ্যা প্রকাশিত হবে। এরপর থেকে কেবল অনলাইনেই থাকছে পত্রিকাটি।
প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের কোনো জাতীয় দৈনিক তাদের প্রিন্ট ভার্সন বন্ধ করে শুধু অনলাইন ভার্সন চালুর রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট, শিকাগো ট্রিবিউনসহ বিশ্বব্যাপী আরও কয়েকটি প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ছাপা পত্রিকার পরিবর্তে অনলাইনে সংবাদমাধ্যম পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছিল।
আগামী ৩১ মার্চে দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের শেষ সংখ্যা প্রকাশিত হবে। এরপর থেকে কেবল অনলাইনেই থাকছে পত্রিকাটি। তাই ‘ডিজিটাল ভবিষ্যতের’ কথা চিন্তা করে প্রিন্ট ভার্সন বন্ধের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরে দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট অনলাইনের আয় ছাপা পত্রিকার তুলনায় ৫০ শতাংশ বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইএসআইডি মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী ম্যাককিন সাগান জানান, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অনলাইন সংবাদমাধ্যমের জয়জয়কার। তাই ‘ডিজিটাল ভবিষ্যতের’ কথা চিন্তা করে প্রিন্ট ভার্সন বন্ধের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, গত তিন বছরে ওয়েবসাইটের পাঠক দ্রুতগতিতে বেড়েছে। শুধু ২০১৫ সালেই দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের অনলাইন সংস্করণের পাঠক বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩ শতাংশ। আর একইসঙ্গে লাভজনক হয়ে উঠেছে ওয়েবসাইটটি। চলতি অর্থবছরে দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট অনলাইনের আয় ছাপা পত্রিকার তুলনায় ৫০ শতাংশ বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
শতভাগ অনলাইনে কার্যক্রম চালাতে ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট কর্তৃপক্ষ। ম্যাককিন সাগান জানান, অনলাইনে ২৪ ঘণ্টা পত্রিকার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের প্রকাশক ও ইএসআই মিডিয়ার প্রধান এভগেনি লেবেদেভ বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংবাদপত্র শিল্পেও পরিবর্তন এসেছে। পাঠকরাই পরিবর্তনের সুযোগ করে দিচ্ছেন। গত দুই বছরে পাঠকরাই বুঝিয়ে দিয়েছেন, পত্রিকার ভবিষ্যৎ আসলে ডিজিটাল মাধ্যমে। তাদের দেওয়া সিদ্ধান্ত এবং ভবিষ্যৎ চিন্তায় আমরা অনলাইনে মনোযোগ দিতে বাধ্য হচ্ছি। পাঠকদের আকর্ষণ বাড়াতে আরও কিছু বিশেষ কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়েও চিন্তা করছি।
সূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট, বিবিসি