ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানি ৩ শতাংশ কমার শঙ্কা
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০২-০১ ০৯:২০:১৯
চলতি ২০২২ বছরে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানি ৩ শতাংশ কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে।বছর শেষে রফতানির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৩ কোটি ৩২ লাখ ১০ হাজার টনে। মূলত স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের চাহিদায় উল্লম্ফনের কারণে রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ইন্দোনেশিয়ান পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশন বলছে, চলতি বছর রফতানি কমলেও পণ্যটির উৎপাদন বাড়বে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে পাম অয়েল সরবরাহের ক্ষেত্রে সম্প্রতি দেশটির সরকার ঘোষিত নতুন বিধান এ পূর্বাভাসে প্রভাব ফেলবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দেশটির সরকার পাম অয়েল রফতানি নিয়ন্ত্রণে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। এর মাধ্যমে স্থানীয় বাজারে পণ্যটির দামও কমিয়ে আনা সম্ভব বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক ও রফতানিকারক। ২০২১ সালে দেশটি ৩ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার টন পাম অয়েল রফতানি করে। এ সময় উৎপাদন হয় ৪ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার টন।
নতুন নীতিমালার অধীনে উৎপাদকদের রফতানির জন্য নির্ধারিত পাম অয়েলের ২০ শতাংশ স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করতে হবে। এ নীতি শুধু অপরিশোধিত পাম অয়েল, পাম অলিন ও ভোজ্যতেল হিসেবে ব্যবহূত পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
অ্যামইনভেস্টমেন্ট বিশ্লেষক গ্যান হুই লিং এক নোটে জানান, বাজার প্রত্যাশা অনুযায়ী উৎপাদকরা মোট পাম অয়েলের ২৫ শতাংশ যদি স্থানীয় বাজারে সরবরাহের জন্য সরিয়ে রাখেন, তবে দাম নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, সরকারের নীতিমালায় নির্ধারিত সরবরাহের হার প্রত্যাশার তুলনায় কম। রফতানির জন্য এখনো অনেক পথ খোলা।
মুম্বাইভিত্তিক ভোজ্যতেলের ব্রোকার সানবিন গ্রুপের গবেষণা প্রধান অনিলকুমার বাগানি বলেন, বর্তমানে স্থানীয় বাজারে ৫৭ লাখ টন ভোজ্যতেলের প্রাপ্যতা রয়েছে। নতুন নীতিমালার উদ্দেশ্য অভ্যন্তরীণ বাজারে পর্যাপ্ত পাম অয়েলের সরবরাহ আছে কিনা তা নিশ্চিত করা। অপরিশোধিত পাম অয়েলের দাম আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার রফতানি কমিয়ে আনা এবং মালয়েশিয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম আবারো আকাশচুম্বী হয়ে উঠতে পারে।
তথ্য বলছে, গত শুক্রবার মালয়েশিয়ান বাজার আদর্শ পাম অয়েলের ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিমূল্য রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে। এদিন পণ্যটির দাম টনপ্রতি ৫ হাজার ৫২৫ ডলারে উন্নীত হয়। বাগানি মনে করছেন, মালয়েশিয়ায় উৎপাদন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার দিকে নজর রাখছেন।
দেশীয় খনিজ সম্পদকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে আরো জোরদার করতে চায় ইন্দোনেশিয়া। এ কারণে বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল রফতানি কমিয়ে আনছে দেশটির সরকার। এক পর্যায়ে এসব পণ্য রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছে এ দেশ। এর মধ্যে রয়েছে অপরিশোধিত পাম অয়েলও।
সানবিডি/এনজে