তামহা সিকিউরিটিজের গ্রাহকদের টাকা দিতে নির্দেশ বিএসইসির

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২২-০২-০৮ ০৭:২৩:২০


দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য তামহা সিকিউরিটিজের গ্রাহকদের টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ৭ ফেব্রুয়ারি বিএসইসির সহকারী পরিচালক মারুফ হাসান সই করা চিঠিতে ডিএসইকে এই নির্দেশনা দিয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালকরা সবাই মিলে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধের জন্য চুক্তি করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করে আগামী ৩১ মে এর মধ্যে ডিএসইতে টাকা জমা দিবে বলে বিএসইসি সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এই টাকা থেকে গ্রাহকদের পাওনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডিএসই তা নিষ্পত্তি করবে। টাকা পরিশোধের বিষয়টি প্রতি সপ্তাহে বিএসইসিকে জানানো নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ইতোমধ্যে তামহা সিকিউরিটিজ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোঃ হারুনুর রশিদ ও তার সহযোগিদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বিএসইসির আবেদনের প্রেক্ষিতে বিএফআইইউ গত ৫ জানুয়ারি এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করে।

সংশ্লিষ্ঠ সুত্র জানায়, তামহা সিকিউরিটিজ ও প্রতিষ্ঠানটির এমডি’র স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এর আগে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠায় গত ডিসেম্বরের ৯ তারিখে ডিএসই তামহা সিকিউরিটিজের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করে।

তামহা সিকিউরিটিজ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পর বিএসইসি ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। তারা এ অভিযোগের সত্যতা খুজে পায়। এবং কমিটির সদস্যরা আরও জানতে পারে যে, ব্রোকারেজ হাউসটি তার প্রায় দুই হাজার গ্রাহকদের শেয়ার ও জমাকৃত অর্থের হিসাব রাখতে দুটি পৃথক ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করে। তারা একটি দিয়ে প্রকৃত তথ্য এবং অন্যটি দিয়ে ভুয়া প্রতিবেদন তৈরি করত।

দুটি প্রথক ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করায় বিনিয়োগকারীরা প্রকৃত তথ্য জানতে পারেনি। এভাবে প্রায় দুই হাজার গ্রাহক তামহা সিকিউরিটিজের কাছে প্রতারণার শিকার হন।

তামহা সিকিউরিটিজের গ্রাহকদের একাউন্ট থেকে প্রায় ৮৭ কোটি টাকা সরিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে বেড়িয়ে এসেছে।

বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত দেড় বছরে তামহা সিকিউরিটিজসহ তিনটি ব্রোকারেজ হাউজের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে ২০২০ সালের জুনে গ্রাহকদের ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ অফিস বন্ধ করে। ২০২১ সালে জুনে গ্রাহকদের ৬৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বানকো সিকিউরিটিজের লেনদেন স্থগিত করে ডিএসই।

পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন 

Sunbd Newsক্যাপিটাল নিউজক্যাপিটাল ভিউজস্টক নিউজশেয়ারবাজারের খবরা-খবর