কর্নাটকে বিদ্যালয়ে হিজাব নিষিদ্ধ ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন: যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক আপডেট: ২০২২-০২-১২ ১৭:৩৯:১২


বহির্বিশ্বে ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর নজরদারি এবং রিপোর্ট করার দায়িত্বে থাকা মার্কিন একটি সরকারি সংস্থা কর্নাটকের সমালোচনা করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার অনুমতির দাবিতে মুসলিম শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে মন্তব্যটি এলো।

লার্জ ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (আইআরএফ) এর অ্যাম্বাসেডর রাশেদ হোসেন কর্নাটকের সমালোচনা করেছেন। রাশেদ হোসেন এক টুইটে লিখেছেন, বিদ্যালয়ে হিজাব নিষিদ্ধ করা ধর্মীয় স্বাধীনতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বারাক ওবামা মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন রাশেদ হোসেন।

ওই টুইটে রাশেদ আরো লিখেছেন, ধর্মীয় স্বাধীনতার মধ্যে একজনের ধর্মীয় পোশাক বেছে নেওয়ার ক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ভারতের কর্নাটক রাজ্য ধর্মীয় পোশাক নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত হয়নি। বিদ্যালয়ে হিজাব নিষিদ্ধ করা ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন। এতে করে নারী ও মেয়েদের কলঙ্কিত ও প্রান্তিক করা হয়।

রাশেদের ওই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ভারত আজ বলেছে যে, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে উদ্দেশ্যমূলক মন্তব্যকে স্বাগত জানানো হবে না। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, যারা ভারত সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন, তারা যথাযথ বাস্তবতা উপলব্ধি করবেন।

তিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কর্নাটক রাজ্যের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পোশাক কোড সংক্রান্ত বিষয় ওই রাজ্যের মাননীয় হাইকোর্টের বিচার বিভাগীয় পরীক্ষাধীন রয়েছে। আমাদের সাংবিধানিক কাঠামো ও প্রক্রিয়ার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক নীতি এবং রাজনৈতিকভাবে এসব সমস্যা বিবেচনা করা হয় এবং সমাধান করা হয়।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে কর্নাটকের একটি কলেজের কয়েকজন মুসলিম ছাত্রীকে হিজাব পরার কারণে বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়। ইস্যুটি বর্তমানে কর্নাটকের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। মুসলিম ছাত্রীরা হিজাব পরে ক্লাস করার অনুমতির জন্য কলেজের মূল ফটকের সামনে অবস্থানও নিচ্ছেন। হিজাব পরার আইনি স্বীকৃতির জন্য মামলা গড়িয়েছে আদালতে।

সূত্র: এনডিটিভি।