এইচএসসির ফল: ৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০২-১৩ ১৪:৫২:৪২
এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ৯ হাজার ১১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে শতভাগ পাস করেছে ১ হাজার ৯৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই। অপরদিকে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করতে পারেনি। এরমধ্যে চট্টগ্রাম বোর্ডে ২টি, দিনাজপুর বোর্ডে ২টি ও ময়মনসিংহ বোর্ডে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া মাদরাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডে শূন্যপাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই।
২০২০ সালে করোনার কারণে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হয়নি। বিশেষ ব্যবস্থায় ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই ফলে শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৬৩টি। কোন শূন্যপাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না। সেই তুলনায় ২০২১ সালে শতভাগ পাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কমেছে ৭ হাজার ১২৯টি। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৬। এই পরীক্ষায় মোট অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৮১ জন। এর মধ্যে পাস করেছেন ১৩ লাখ ৬ হাজার ৭১৮ জন। অন্যদিকে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শুধু এইচএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫৭।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫২২ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৭২ জন। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৭৫ জন।
এর আগে রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সকালে এক অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে ডিজিটালি এই পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে এইচএসসির ফলাফলের সারসংক্ষেপ গ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, করোনার কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া হয় ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৯৯ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফল প্রকাশের কথা থাকলেও দেশের বাইরের বিভিন্ন কেন্দ্রের খাতা মূল্যায়নে দেরি হয়।
এম জি