সাত মাসে ২৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা রাজস্ব ঘাটতি
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০২-১৫ ১৪:৪০:৩৬
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম সাত মাস (জুলাই ২০২১-জানুয়ারি-২২) পর্যন্ত রাজস্ব আহরণে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এ সময়ে বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল ২৬১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। বিপরীতে আহরণ করা হয়েছে ২৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। গত জানুয়ারিতে লক্ষ্যমাত্রার অধিক ৯ কোটি ২১ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণ করা হয়েছে। এ সময়ে ৩৪ কোটি ১২ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ করা হয়েছে ৪৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। অর্থবছরের বাকি সময়ে লক্ষ্যমাত্রার অধিক রাজস্ব আহরণ সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে নির্ধারিত ৩১২ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৩৯৯ কোটি টাকা আহরণ করা হয়। ফলে লক্ষ্যমাত্রার অধিক ৮৭ কোটি টাকা আয় হয়। সে কারণে চলতি অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দরের রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা বাড়িয়ে ৪৫৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সে হিসেবে অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগস্টে ৪৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ করা হয়েছে ২৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বরে ৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। অক্টোবরে ৩৯ কোটি ২ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। নভেম্বরে ৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ডিসেম্বরে ৩০ কোটি ২৪ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। জানুয়ারিতে ৩৪ কোটি ১২ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৪৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
হিলি স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আমিরুল ইসলাম বলেন, বেনাপোলসহ দেশের অন্যান্য বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে যে মূল্যে আমদানীকৃত পণ্যের শুল্কায়ন করা হয় ওই একই পণ্য হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানির ক্ষেত্রে সেই নিয়ম না মেনে তার চেয়ে বাড়তি মূল্য নির্ধারণ করা হয়। বিশেষ করে অধিক শুল্কযুক্ত পণ্য বা কমার্শিয়াল পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এ দুর্ভোগ বেশি পোহাতে হয়। শুধু কাস্টমসের দ্বিমুখী নীতির কারণে এসব অধিক শুল্কযুক্ত পণ্য এ বন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে না, সে কারণে রাজস্ব আহরণের যে ব্যাপক সম্ভাবনা ছিল সেটি পূরণ হচ্ছে না।
সানবিডি/এনজে