আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে খেলাপি নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০২-১৫ ২১:১৪:৩১


২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ঋণ সমন্বয়ের সুযোগ পাচ্ছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে বলা হয়েছে, এক্সিট সুবিধা গ্রহণে ইচ্ছুক গ্রাহকরা ডাউন পেমেন্ট পরিশোধ সাপেক্ষে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে পূর্বে প্রদত্ত কোনও কিস্তি বা এর অংশ হিসাবে জমাকৃত অর্থ ডাউন পেমেন্ট হিসেবে বিবেচিত হবে না। এছাড়া নির্ধারিত ডাউন পেমেন্ট পরিশোধ সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মধ্যে গ্রাহকের আবেদনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, যেসব ঋণগ্রহিতা আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের ঋণদায় সমন্বয়ে ইচ্ছুক বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে সমর্থ নয়, তাদের অনুকূলে এক্সিট সুবিধা দেওয়া যাবে। কোভিড-১৯-এর চলমান প্রভাব এবং বিবিধ নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে ঋণগ্রহীতারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেক ঋণ সময় মতো আদায় হচ্ছে না। ফলে তা বিরূপমানে শ্রেণিকৃত হয়ে পড়ছে এবং ঋণের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কয়েকটি শর্তে বিশেষ সুবিধা দিতে পারবে গ্রাহকদের।

শর্তগুলো হলো-

  • ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ ভিত্তিক ঋণ স্থিতির ন্যূনতম ২ শতাংশ অর্থ ডাউন পেমেন্ট জমা দিয়ে এক্সিট সুবিধার আবেদন করতে হবে;
  • আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণগ্রহীতাকে ঋণ সমন্বয়ের জন্য এক্সিট সুবিধা মঞ্জুরির সময় হতে সর্বোচ্চ ১ বছর সময় দেওয়া যাবে। উক্ত মেয়াদের মধ্যে এককালীন বা মাসিক ত্রৈমাসিক কিস্তিতে অর্থ আদায় করা যাবে;
  • এক্সিট সুবিধা মঞ্জুরির পর হতে ঋণ সমন্বয় পর্যন্ত আদায়যোগ্য অর্থের ওপর কস্ট অব ফান্ড হারে সুদ/মুনাফা আরোপ করা যাবে। তবে তা আদায় ব্যতিরেকে আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে না;
  • ঋণের সমুদয় অর্থ পরিশোধের পূর্ব পর্যন্ত ঋণ হিসাবটি আগের মতো ‘মন্দ/ক্ষতি’ মানে শ্রেণিকৃত থাকবে।

তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে ঋণের আরোপিত সুদ (সর্বোচ্চ ৫০%), অনারোপিত সুদ, দণ্ড সুদ বা অন্য কোনও চার্জ মওকুফ করা যাবে। তবে কোনোক্রমেই ঋণের আসল অর্থ মওকুফ করা যাবে না। এক্ষেত্রে মওকুফকৃত সুদ একটি পৃথক সুদবিহীন ব্লকড হিসাবে স্থানান্তর করতে হবে এবং এই নীতিমালার শর্তানুযায়ী ঋণের সমুদয় অর্থ আদায়ের পর ব্লকড হিসাবে রক্ষিত অর্থ মওকুফ হিসেবে গণ্য হবে।

এএ