ভোটে হেরে চলাচলের পথ বন্ধ করলেন প্রার্থী, প্রতিবাদে মানববন্ধন
জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২২-০২-১৮ ১৫:১৯:০৩
ভোটে পরাজিত হয়ে টিন ও বাঁশ দিয়ে ৫০ পরিবারের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে এলাকাবাসি মানববন্ধন এবং নড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘড়িষার ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোয়াল বাথান গ্রামে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী আমেনা বেগম (৪৭) এর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, ৫ম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তার মধ্যে ইসমতারা বেগম ক্যামেরা প্রতীকে জয়ী হয়। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমেনা বেগম মাইক প্রতীকে হেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ৫০টি পরিবারের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়। এতে দৈনন্দিন কৃষিকাজসহ যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়েন এলাকাবাসী। রাস্তা উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে এলাকাবাসী বিভিন্ন ব্যানারে মানববন্ধন করেছেন। গৃহবন্দি হয়ে পড়া ওই সব বাড়ির মানুষ যাতায়াতের পথ খুলে দিতে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে পরাজিত প্রার্থী আমেনা বেগম বলেন, আমি নির্বাচনে হেরেছি তাই পথ বন্ধ করেছি, বিষয়টি এমন নয়। ওই জমি পৈত্রিক ও ভাইরা কিনেছে। তাই আমাদের জমিতে আমাদের প্রয়োজনে প্রাচীর দিয়েছি।
এলাকার বাসিন্দা জসীম ঢালী, আব্দুর রহিম, হাজেরা বেগম, সাহিদা বেগম বলেন, পঞ্চাশ বছর যাবত এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত আমাদের অন্তত ৫০ পরিবারের। ধান, গম, সরিষাসহ বিভিন্ন ফসল এই পথ দিয়ে আনা নেয়া করা হয়। কবর জিয়ারত করতে এই পথ দিয়েই যেতে হয়। কিন্তু আমেনা বেগম নির্বাচনে হেরে আমাদের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা যাতায়াতের পথ খুলে দিতে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।
তারা বলেন, সম্প্রতি এখানের এক লোক মৃত্যুবরন করেন। যেখানে যেতে মাত্র ৩০০ মিটার পথ। আমেনা রাস্তা পথ বন্ধ করে দেয়ার কারণে ওই ব্যাক্তির জানাজা ও দাফন করতে পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঘড়িষার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুর রব খান বলেন, এলাকাবাসী নাকি আমেনা বেগমকে ভোট দেয়নি। তাই নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আমেনা বেগম চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন একপক্ষ এমনটা জানিয়েছে আমাকে। এলাকায় বসবাস করলে সবাই মিলে মিশে চলতে হয়। কারো সহযোগিতা ছাড়া কি কেউ চলতে পারে, পারে না। রাস্তা বন্ধ করা এটা একটি ভুল সিদ্ধান্ত। আমেনার ভাইয়েরা বিদেশে থাকে, বিষয়টি জানার পর থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনি সংকর কর বলেন, ওই জমি আমেনা বেগমের পরিবারের। যেহেতু তাদের ব্যক্তিগত জমি, পথ খুলে দেয়ার ব্যাপারটা তাদের। তবুও সকলের সার্থে আমিও বলেছি সবার সঙ্গে মিলে যেতে।