দাম ঊর্ধ্বমুখী সত্ত্বেও এশিয়ায় বাড়ছে কফির ব্যবহার
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-০২-২১ ১৫:৩৯:৫০
অব্যাহতভাবে দাম বৃদ্ধি সত্বেও এশিয়ার ভোক্তার তাদের দৈনিক ক্যাফেইন গ্রহণ কমিয়ে দেননি।চলমান বাজার পরিস্থিতি বলছে, চলতি বছর এ অঞ্চলে পানীয় পণ্যটির ব্যবহার ঊর্ধ্বমুখী থাকবে।
এ বিষয়ে সিউলভিত্তিক কৃষিপণ্য বাণিজ্য প্লাটফর্ম ট্রিজের বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় কফির দাম যে হারে বেড়েছে, তাতে এ বছর পণ্যটির আমদানি ও ব্যবহার স্বল্পমেয়াদে কমতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার গত বছরকে ছাড়িয়ে যাবে। এ কারণে এশিয়ায় কফির বাজার দ্রুত বাড়ছে। অঞ্চলটির বাজারে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে বেশ কয়েকটি কফি চেইনের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে।
ক্যাপিটাল ডটকমকে দেয়া সাক্ষাত্কারে ট্রিজের বিশ্লেষকরা বলেন, চলতি বছর এশিয়ায় কফি ব্যবহার গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। মূলত এ অঞ্চলের দেশগুলোয় ক্যাফে কালচারের বিস্তারকে ব্যবহার বৃদ্ধির বড় কারণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
ট্রিজের দেয়া তথ্য বলছে, গত বছরের ডিসেম্বরে অ্যারাবিকা কফির ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য বেড়ে এক দশকের সর্বোচ্চে পৌঁছে। এর প্রধান কারণ ছিল বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদন ব্রাজিলে উৎপাদন ঘাটতি। ভয়াবহ খরা ও তুষারপাতের কারণে দেশটির কফি উৎপাদন খাতে গত বছর বিপর্যয় নামে। দেশটি এখনো এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি পাউন্ড কফির দাম বেড়ে ২০৩ দশমিক ৬ সেন্টে উঠে আসে। অথচ ২০১৯ সালের একই সময় প্রতি পাউন্ডের দাম ছিল ১০০ দশমিক ৫২। সে হিসাবে মহামারী-পূর্ব অবস্থাকেও ছাড়িয়ে গেছে বাজারদর।
এদিকে বিশ্ববাজারে কফির দাম অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকায় উৎপাদক দেশগুলোর কৃষকরা কফি আবাদে উৎসাহিত হচ্ছেন। ব্রাজিল ছাড়া অন্যান্য দেশের কৃষকরা উৎপাদন বাড়াচ্ছেন। বাড়ছে রফতানিও।
সানবিডি/এনজে