ইউক্রেনের রুশপন্থী অঞ্চলে সেনা পাঠানোর নির্দেশ পুতিনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-০২-২২ ১২:৫৩:২০


পূর্ব ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল সোমবার তিনি এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এর আগে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন পুতিন। এই অঞ্চল দুটি হলো- দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক। আর তার কয়েক ঘণ্টা পরেই আসে সেনা পাঠানোর নির্দেশ।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে কয়েক দিন ধরে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ইউক্রেনীয় সেনাদের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা-সংঘাতের মধ্যে পুতিনের এ ঘোষণাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। তিনি মূলত পশ্চিমা হুমকি উপেক্ষা করে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন। পুতিন তার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পূর্ব ইউক্রেনের ওই দুই ‘প্রজাতন্ত্রের’ সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন।

পূর্ব ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়ে এক ডিক্রিতে সই করেছেন পুতিন। ডিক্রি অনুযায়ী, ওই দুই অঞ্চলে রুশ সেনারা শান্তিরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন।

সেনা মোতায়েনের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি মস্কো। তবে আদেশে বলা হয়েছে, যেদিন ডিক্রি স্বাক্ষরিত হয়েছে, সেদিন থেকেই তা কার্যকর। তবে প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, পুতিনের ডিক্রি জারির পর রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী-নিয়ন্ত্রিত শহর দোনেৎস্কে ট্যাংক ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম ঢুকতে দেখা গেছে।

মস্কোর স্থানীয় সময় সোমবার রাতে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বর্ণনা করেন পুতিন। তিনি বলেন, একটি সত্যিকারের জাতিরাষ্ট্র হওয়ার কোনো ইতিহাস ইউক্রেনের নেই।

মস্কোর এ পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গতকাল সোমবার গভীর রাতে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেন মোটেই ভীতসন্ত্রস্ত নয়। ইউক্রেন কাউকে কিছু দেবে না। সেইসঙ্গে শান্তি আলোচনাকে নস্যাৎ করার জন্য রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেছেন জেলেনস্কি।

সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া লাখো সেনা জড়ো করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমারা আশঙ্কা করে, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে। তবে এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মস্কো।