ইউক্রেন সংকট: কয়েক বছরের শীর্ষে খাদ্যপণ্যের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০২-২৩ ১৪:১১:২৯


বর্তমানে রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের নেতৃস্থানীয় দুই খাদ্যশস্য উৎপাদক দেশ। দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার কারণে গম, ভুট্টা ও সূর্যমুখী তেল আমদানিকারকরা বিকল্প উৎস খুঁজছেন। এতে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে কয়েক বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ীরা সম্প্রতি রয়টার্সকে এসব কথা জানিয়েছেন।

তথ্য বলছে, বৈশ্বিক গম রফতানির ২৯ শতাংশই আসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। এছাড়া বৈশ্বিক ভুট্টা রফতানির ১৯ শতাংশ ও সূর্যমুখী তেল রফতানির ৮০ শতাংশই করে এ দুই দেশ। ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ, যেকোনো ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপ খাদ্যশস্যের রফতানি প্রবাহকে ভয়াবহভাবে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। সংকটকালে সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কৃষ্ণ সাগরীয় দেশগুলোর বিকল্প খুঁজে পেতে মরিয়া শীর্ষ ভোক্তা দেশগুলো।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মঙ্গলবার শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে গমের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য ২ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া ভুট্টার বাজারদর উঠেছে সাত মাসের সর্বোচ্চে। সয়াবিনের দামও স্থিতিশীল পর্যায়ে বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় প্রধান এ তিন খাদ্যশস্যের দাম প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্যের চাহিদা বাড়ছে লাফিয়ে। কিন্তু সে অনুপাতে উৎপাদন নেই। তার ওপর রাজনৈতিক অস্থিরতা পরিস্থিতিকে আরো কঠিন করে তুলেছে।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান জানায়, বর্তমানে কার্গোগুলো যুদ্ধের ঝুঁকি এড়াতে কৃষ্ণ সাগরমুখো হচ্ছে না। এ কারণে এখন থেকে সরবরাহ ব্যাহত হতে শুরু করেছে। অন্যদিকে কৃষ্ণ সাগরীয় অঞ্চল থেকে সরবরাহ কমার আশঙ্কা দেখা দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার গম ও ভুট্টার চাহিদা বাড়ছে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানায়, এরই মধ্যে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক মূল্য এক দশকের সর্বোচ্চে অবস্থান করছে। গম ও শুকনো পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা দাম বাড়াচ্ছে। এরই মধ্যে ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা খাদ্যপণ্যের বাজারকে স্মরণকালের ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে ফেলতে পারে।

সানবিডি/এনজে