৬ শতাংশ কমেছে ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক আপডেট: ২০২২-০২-২৪ ১৪:১৭:৫৭


জানুয়ারিতে ৬ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন।মূলত বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদক চীনে দুর্বল চাহিদা ও ইউরোপের বাজারে বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণেই উৎপাদনে নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে।

সম্প্রতি অপরিশোধিত ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশন। ৬৪টি শীর্ষ উৎপাদক দেশের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। বৈশ্বিক উৎপাদনের ৮৫ শতাংশই আসে এসব দেশ থেকে।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, গত মাসে অপরিশোধিত ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ১৫ কোটি ৫০ লাখ টনে। উৎপাদন কমে যাওয়ার পেছনে প্রধান জ্বালানি জুগিয়েছে চীন। জানুয়ারিতে দেশটির ইস্পাত উৎপাদন ১১ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের প্রপার্টি খাতে নানামুখী জটিলতার কারণে দেশটিতে ইস্পাতের চাহিদা অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় কমেছে। পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্য অর্জনে দেশটির সরকার ইস্পাত উৎপাদন নিরুৎসাহিত করছে। শীতকালীন অলিম্পিক উপলক্ষে বাতাসে দূষণের হার কমানোর জন্যও উৎপাদনে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে।

ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের পণ্যবাজারবিষয়ক অর্থনীতিবিদ লুক নিকেলস বলেন, আমরা মনে করছি চলতি বছর অবকাঠামো নির্মাণ খাতে অপরিশোধিত ইস্পাতের চাহিদা দুর্বল থাকবে। সেক্ষেত্রে বলা যায়, এ বছর চীনের অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। জানুয়ারিতে দেশটি ৮ কোটি ১৭ লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন করে।

জানুয়ারিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নে শিল্প ধাতুটির উৎপাদন ৬ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। তুরস্কে কমেছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। বৈশ্বিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান সিটির বিশ্লেষক এপ্রেম রাভি বলেন, বিদ্যুতের অতিরিক্ত দামের কারণে ইউরোপে ইস্পাত উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ অঞ্চলের অনেক বিগলন প্রতিষ্ঠান ব্যয় সামলাতে না পেরে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। সংকট তৈরি হওয়ায় ইউরোপে ইস্পাতের দাম এক বছরের ব্যবধানে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।

সানবিডি/এনজে