আরও এক দফা বাড়লো পেঁয়াজ-তেল-চাল-ডিমের দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০২-২৬ ১২:২২:৩৮
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ছেই। রমজানের আগে আবারও পেঁয়াজের ঝাঁজ বাড়তে শুরু করেছে। দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই চাল, ডাল, তেল, ডিমের দামও। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে সংসার চালাতে রীতিমতো হিমসীম খাচ্ছেন দেশের নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।
রাজধানীর শ্যামলীর কাঁচা বাজার, মোহাম্মদপুরের কৃষি বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা গেছে, কিছুদিন আগেও ২০ টাকার কমে এক কেজি পেঁয়াজ পাওয়া যেত। এখন সেই পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৩ টাকায় পৌঁছেছে। সরকারি হিসাবে গত এক সপ্তাহে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি। এছাড়া নতুন করে বেড়েছে মোটা চালের দাম। ৫০ টাকার নিচে এখন আর কোনোও চাল পাওয়া যায় না। আর চিকন চালের দাম গিয়ে ঠেকেছে ৭৫ টাকা কেজি।
ফার্মের মুরগির ডিমের দাম এখন প্রতি হালি ৪০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। গত সপ্তাহে যা ছিল ৩৮ টাকা হালি। সরকারের হিসাবে গত এক সপ্তাহে ডিমের দাম বেড়েছে তিন শতাংশের বেশি। আর ফার্মের মুরগির এই ডিমের দাম গত একবছরে বেড়েছে ৩১ দশমিক শতাংশ। গত বছরের এই সময়ে প্রতি হালি ২৮ টাকা বা তার কমে পাওয়া যেত।
সয়াবিন তেল লিটারে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। কোম্পানি ভেদে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের আজকের বাজার মূল্য ১ লিটার ১৬৫ থেকে ১৬৮ টাকা, ২ লিটার ৩২০ থেকে ৩২৮ টাকা এবং ৫ লিটার ৭৭০ থেকে ৭৮০ টাকা।
কিছু সবজির দাম মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। আবার কিছু সবজীর দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি আলু ১৬ থেকে ২০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ১০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা ও গোল বেগুন ২০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, করোলা ১০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচা পেঁপে ২৫ টাকা, পটল ১৬০ টাকা, সীম ৫০-৬০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। মাঝারি সাইজের লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা।
মাছের যথেষ্ঠ সরবরাহ রয়েছে বাজারে। তারপরও দাম তুলনামূলক বেশি। প্রতি কেজি রুই আকার ভেদে ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি, কাতল (বড়) ৩৫০ টাকা, বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা, মাঝারি চিংড়ি ৫৫০-৬০০, ছোট চিংড়ি ৪৫০-৫০০ টাকা, নদীর মাঝারি চিংড়ি ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাবদা ৪৫০-৫০০ টাকা, কৈ ২২০ টাকা, মলা ৩৫০ টাকা, শিং (দেশি) ৭০০ টাকা ও চাষের ৪০০ টাকা, মাগুর ৫০০ টাকা, টেংরা ৭০০, বড় রূপচাঁদা ৯০০ টাকা দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
শ্যামলীর কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে আসা শাওন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এসব দেখার কেউ নেই। আমাদের মতো অল্প আয়ের মানুষরা আর পারছি না। চাল, ডাল, চিনি ও তেলসহ সবকিছুর দামই বাড়তি।’
মোহাম্মদপুরের এক চাল ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা বেশি দামে কিনি-বেশি দামে বেচি। এই যে দামে চাল কিনছি তাতে এর চেয়ে কম দামে বেচলে পোশাবে না। গত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) চালে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। আমরা কম দামে কিনলে কম দামে বিক্রি করি, বেশি দামে কিনলে বেশি দামে বেচি।’