জাতীয় সবজি মেলায় এসিআই সীডের প্রথম স্থান অর্জন

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-০৩-০৩ ১৯:২৮:৩৬


জাতীয় সবজি মেলা ২০২২ এ প্যাভিলিয়ন পর্যায়ে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে এসিআই সীড। রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) চত্বরে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী মেলা শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।

ষষ্ঠবারের মতো এ মেলার আয়োজন করে কৃষি মন্ত্রণালয়। মেলায় সরকারি ৯টি ও বেসরকারি ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৪৬টি স্টল অংশগ্রহণ করে।

মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রণালয় সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। মেলায় অংশগ্রহনকারী বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রযুক্তি ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতা উপস্থাপনের জন্য পুরষ্কৃত করা হয়। এতে প্যাভিলিয়ন পর্যায়ের প্রথম পুরষ্কার লাভ করে এসিআই সীড।

এসিআই সীড ভ্যালু চেইন অর্থাৎ সবজির জাত উন্নয়ন গবেষণা থেকে শুরু করে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের কার্যক্রম তুলে ধরা হয় মেলাতে। এসিআই সীড, নিজস্ব গবেষণায় উদ্ভাবিত ১২টি সবজি ফসলের ৩৭টি জাতসহ মোট ৩৯টি সবজি ফসলের ১১০টি জাত বাজারজাত করেছে।

এসব জাতের বীজ ইতিমধ্যে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলছে। এসিআই সীড কৃষকদের পরিপূর্নভাবে বীজের সমাধান দেওয়ার লক্ষ্যে নিয়ে কাজ করে এবং সবজি ফসলের বিভিন্ন উচ্চফলনশীল হাইব্রিড ও ওপিজাত প্রদর্শন করে।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এসিআই সীডের হাইব্রিড লাউ – ময়না, মার্শালসুপার, হাইব্রিডকরলা – পাপিয়াসুপার, পাপিয়াসুপার গোল্ড, হাইব্রিড মিষ্টিকুমড়া – মোহনা, সুইটবয়, সুইট বেবি, হাইব্রিড ঢ়েড়ঁস – বুলেট, গ্রীনসুপার, হাইব্রিডফুলকপি – হাইব্রিডশসা – মেসি, হাইব্রিড বেগুন – পার্পললং প্রভৃতি। এছাড়া টমেটো, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, ঢেঁড়স, মরিচ, ক্যাপসিকাম, গাজর সহ বিভিন্ন ফসলের হাইব্রিড জাত প্রদর্শন করা হয় এবারের মেলায়।

মেলাতে এসিআই সীড বর্তমান বাজারজাতকৃত ও পরবর্তী প্রজন্মের বিভিন্ন জাতসহ মোট ২১টি আলুর জাত প্রদর্শন করে। এসব আলুর জাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময় খাবার আলুর জাতসহ, শিল্পজাত ও রপ্তানিযোগ্য আলুর জাত রয়েছে। রোগ প্রতিরোধী এ জাতগুলো প্রচলিত জাতের তুলনায় অধিক ফলনশীল, প্রসেসিং লস গড়ে ১-১.৫% ও ড্রাই মেটার ২২% এর উপরে। কোম্পানি প্রত্যাশা করছে যে, পরবর্তী প্রজন্মের জাতগুলো বাংলাদেশে আলু উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে।

এসিআই সীড “বিপ্লব” নামে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় গ্রীষ্মকালীন একটি পেঁয়াজের জাত মেলায় প্রদর্শন করে, যার হেক্টর প্রতিফলন ৩০-৩২ মেট্রিকটন। “বিপ্লব” উচ্চ তাপমাত্রা ও অধিক বৃষ্টিসহনশীল জাত, যা এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চাষ করা যায়। জাতটি চারা লাগানোর ১০০-১১০ দিনের মধ্যে উত্তোলন করা যায়।

বিপ্লব নিয়ে এসিআই সীড সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দেশে বর্তমানে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৩৫ লক্ষ মেটিকটন। সেখানে আমাদের দেশে পেঁয়াজের মোট উৎপাদন ২৫-২৬ লক্ষ মেট্রিকটন। ফলে প্রতি বছর প্রায় ১০ লক্ষ মেট্রিকটন পেঁয়াজ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। পেঁয়াজ উৎপাদনে স্ব-নির্ভর হওয়ার ক্ষেত্রে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ একটি গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করতে পারে। উচ্চ ফলনশীল “বিপ্লব” চাষ করলে একদিকে কৃষক যেমন লাভবান হবে, তেমনি দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি মেটানোও সম্ভব হবে।

এএ