শুধুমাত্র নির্বাচনকে গণতন্ত্রের পাল্লায় মাপা ঠিক নয়: তথ্যমন্ত্রী
আপডেট: ২০১৬-০২-১৮ ১৮:৫৫:১৭
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, নির্বাচনকে শুধুমাত্র গণতন্ত্রের পাল্লায় মাপা সঠিক নয়। ১৯৯০ এরপর চারবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। চারটি নির্বাচনের পরও ‘পক্ষ বিপক্ষ’ এর মূল রাজনীতির অবসান হয়নি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের অস্তিত্বকে অস্বীকার, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করার ঘৃণ্য রাজনীতি অব্যাহত থেকেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘শহীদ ড. শামসুজ্জোহা স্মারক বক্তৃতা’য় তিনি এসব কথা বলেন। রাবির রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সায়েন উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য দেন।
‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে জঞ্জালমুক্ত করতে হবে’ শীর্ষক প্রবন্ধে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া জঞ্জাল, পাকিস্তানের রেখে যাওয়া জঞ্জাল, সামরিক শাসকদের রেখে যাওয়া জঞ্জাল আগলে রেখে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নিরাপদ হবে না, সামনেও এগুবে না। এ জঞ্জাল দুর্গন্ধ জড়াবে, বিষবাষ্প ছড়াতেই থাকবে। তাই দেশের গণতন্ত্রকে নিরাপদ করতে এসব জঞ্জাল পরিষ্কারের কোনো বিকল্প নেই। এইজন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য।
দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. জোহার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ড. জোহার আত্মবলিদান বাঙালী জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামকে এক উচ্চতর ধাপে নিয়ে গিয়েছিল। সমগ্র জাতিকে স্বাধীনতার জন্য আত্মবলিদানে অনুপ্রাণিত করেছিল। উচ্চশিক্ষা, জ্ঞান, মুক্তবুদ্ধির চর্চার কেন্দ্র হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় জীবনের প্রয়োজনে যে ঐতিহাসিক দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় পালন করে, শহীদ ড. জোহা সেই দায়িত্বের কথা লিখে দিয়ে গেছেন।
এর আগে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু শহীদ ড. জোহার সমাধি ও জোহা স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় রাবি উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে পাকিস্তানী সেনাদের গুলিতে নিহত হন রাবির তৎকালীন প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা। দিনটি রাবিতে প্রতিবছর ‘শিক্ষক দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস