বায়োমেট্রিক পদ্ধতি আসলে কি??

প্রকাশ: ২০১৬-০২-১৯ ১৭:৫৬:৫৭


biometric-verification_8658গত নভেম্বরের শেষের দিকে বাংলাদেশের যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় পরীক্ষা মুলক ভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের উদ্বোধন করেন। গত ১৬ ই ডিসেম্বর সেটি দেশের সম্পূর্ণ ভাবে চালু করার জন্য দেশের সব গুলো মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশ দেন। আমাদের আজকের আলোচনা হবে এই বায়োমেট্রিক পদ্ধতি মূলত কি জিনিস তা নিয়ে।

বায়োমেট্রিক পদ্ধিততে আঙ্গুলের চাপ গ্রহন

বায়োমেট্রিক পদ্ধিততে আঙ্গুলের চাপ গ্রহন

সবার আগে চলুন জেনে নেই বায়োমেট্রিক শব্দের অর্থ কি?

বায়ো শব্দের অর্থ জীবন, প্রাণ ইত্যাদি। মেট্রিক হল একটি প্যারামিটার যা দিয়ে বুঝানো হয় কোন কিছুর কাজ করার যে বৈশিষ্ট্য দিয়ে সবার থেকে আলাদা করা হয় অথবা কর্ম-বিন্যাস। সম্পূর্ণ ভাবে দাঁড়ালো বায়োমেট্রিক মানে হতে পারে “কোন প্রাণীকে তার যে বৈশিষ্ট্যর জন্য আলাদা করা হয় তাকে”

বায়োমেট্রিক কিভাবে কাজ করে?

বায়োমেট্রিক কিভাবে কাজ করে তা জানার আগে চলুন জেনে নেই এটার উৎপত্তি কথা থেকে। শুনা যায় যে উনিশ শতাব্দীর আগে দুই জন বিজ্ঞানী এই ব্যাপারে কিছু পরিকল্পনা করে গেছেন। পরবর্তীতে ১৮৯১ সালে আর্জেন্টিনাতে এক জন বিজ্ঞানী (Juan Vucetich) সন্ত্রাসীদের আঙুলের চাপ ধরে রাখার মত একটি যন্ত্র সামরিক বাহিনীর হাতে তুলে দেন। তখন থেকেই বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া শুরু হয়।

বায়োমেট্রিক পদ্ধিততে রেকর্ড রাখার অঙ্গ সমুহ

বায়োমেট্রিক পদ্ধিততে রেকর্ড রাখার অঙ্গ সমুহ

মানুষ এবং জীবের শরীরের কিছু অঙ্গ থাকে যেগুলো এক জনের থেকে অন্য জনের সম্পূর্ণ ভিন্ন। যেমন চোখ, ডিএনএ, আঙ্গুলের চাপ ইত্যাদি। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে এই ভিন্ন অঙ্গগুলোকে নিয়ে কাজ করা হয় দুই ধাপে। প্রথম ধাপে অবজেক্টের (যার হাতের চাপ নেওয়া হবে) হাতের চাপ, চোখের প্রকৃতি, অথবা ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়। শেষ ধাপে অবজেক্টেরের নাম, ঠিকানা, ইত্যাদি নেওয়া হয়। এই ক্ষেত্রে অবজেক্ট যদি পরে নিজের নাম ঠিকানা পরিবর্তন করেও কোন রকম ক্রাইম করে তাও তাকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।

বায়োমেট্রিক পদ্ধিততে সিম নিবন্ধন

বায়োমেট্রিক পদ্ধিততে সিম নিবন্ধন

আমাদের দেশে যেভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন হচ্ছে-

সারা বিশ্বের প্রেক্ষাপটে সিম নিবন্ধনের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বলতে গেলে একটি নতুন পদ্ধতির নাম। আমরাই দ্বিতীয় দেশ যারা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করছি। সিম নিবন্ধনের জন্য একটি কম্পিউটার এর সাথে একটি ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডার সংযুক্ত থাকে। ব্যাবহারকারি ফোন নাম্বারের সাথে তার আঙ্গুলের চাপের রেকর্ড নিয়ে নেওয়া হয়। এর বাহিরে তেমন কোন তথ্য নেওয়া হয় না।

ভবিষ্যতে অনুসন্ধানের জন্য যদি ওই সিম ব্যাবহারকারীর ব্যাপারে তাৎক্ষনিক কিছু জানতে হয় তাহলে ওই আঙ্গুলের চাপ অনুযায়ী, ভোটার নিবন্ধনের জন্য আঙ্গুলের চাপের রেকর্ড লিস্ট হতে তাকে খুঁজে বের করা সম্ভব। অথবা ব্যাক্তি যদি ভোটার না হন তাও তাকে তার আঙ্গুলের চাপের মাধ্যমে গোয়েন্দা পদ্ধতিতে আলাদা করা সম্ভব। মোট কথা এটি বেশ সময় উপযোগী পদক্ষেপ।

সূত্র: ইন্টারনেট

সানবিডি/ঢাকা/রাআ