অর্থ আত্নসাৎ করায় ২০ কোটি জরিমানা, ১৬ বছর কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-০৪-০৩ ১৮:০৯:০৪


শহিদুল ইসলাম চৌধুরী নামে এক জাহাজ আমদানিকারককে চট্টগ্রামে ব্যাংক থেকে ১১ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করায় ১৬ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ কোটি দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত শহিদুল করিম চৌধুরী পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আজ রবিবার (০৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ এ রায় দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, শহিদুল করিম চৌধুরীকে মামলার তিনটি ধারায় এ দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে দণ্ডবিধি ৪০৯ ধারায় ১০ বছর কারাদণ্ড এবং ২০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড, দণ্ডবিধি ৪২০ ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধি ৪৭৭ (ক) ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডসমূহ একত্রে চলবে।

বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মুসা বলেন, ১৯৯৪ সালের ২ জুলাই নগরীর কোতোয়ালি থানার লালদিঘি পাড়ার জনতা ব্যাংক শাখা থেকে ১১ কোটি ৮১ লাখ টাকা ঋণ নেন শহিদুল করিম। ওই টাকা দিয়ে পুরাতন জাহাজ আমদানি করেন। পরে ঋণের টাকা পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ১৯৯৪ সালে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কর্মকর্তা এ কে এম নুরুল হুদা আজাদ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় শহিদুল করিমকে একমাত্র আসামি করা হয়। ২০০৩ সালের ১৫ নভেম্বর মামলার চার্জ গঠন করেন আদালত। ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রবিবার রায় দেন বিচারক।

সানবিডি/এনজে