কলম্বো বন্দরের কার্যক্রম স্থবির,শঙ্কায় গার্মেন্ট মালিকরা
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০৪-০৭ ১২:২০:৩৪
বাংলাদেশের গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা অর্ডারের ভারা মৌসুমে পণ্য শিপমেন্ট নিয়ে একের পর জটিলতায় বিপাকে পড়েছেন। করোনাকালীন সময়ে জাহাজ ভাড়া দ্বিগুণ, চীনে লকডাউনের কারণে কাঁচামাল ও স্যাম্পল আসতে দেরির পর এবার চরম অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যন্ত শ্রীলঙ্কাও দেশের পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের অস্বস্তিতে ফেলেছে। শ্রীলঙ্কার আর্থিক সংকটে সে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর কলম্বো বন্দরের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হিসেবে মাদার ভেসেলে পণ্য দিতে যাওয়া শত শত ফিডার ভেসেল আটকে আছে এই বন্দরে।
একেকটি ফিডার ভেসেলের পণ্য খালাস করতে বাড়তি সময় লাগছে তিন থেকে চার দিন। এর ফলে ইউরোপ এবং আমেরিকান ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছে সময়মতো তৈরি পোশাক পাঠানো নিয়ে শঙ্কায় আছেন গার্মেন্ট মালিকরা।
গার্মেন্ট ব্যবসায়ী ও শিপিং এজেন্টরা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইউরোপ ও আমেরিকায় পণ্য পাঠাতে সিঙ্গাপুর বন্দরের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার কলম্বো এবং মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং ও তাঞ্জুম পালাপাস বন্দরকে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হিসেবে ব্যবহার করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে সিঙ্গাপুর বন্দর ৪০ শতাংশ, পোর্ট কেলাং ১০ শতাংশ, তাঞ্জুম পালাপাস ৫ শতাংশ ব্যবহার হলেও শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দর এককভাবেই ৪৫ শতাংশ ব্যবহার করেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। যে কারণে শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরের স্থবিরতা বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সানবিডি/এনজে