মালয়েশিয়ার সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের বিস্ময়
প্রকাশ: ২০১৬-০২-২০ ১০:২৭:০৮
বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের একদিন পর মালয়েশিয়ার বিদেশী শ্রমিক নেয়া স্থগিতের ঘোষণায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা।
মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমে স্থগিতের খবর এলেও সরকারিভাবে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে জানানো হয়নি বলে তারা জানিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া যেতে আগ্রহীদের এখনই বিচলিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে মালয়েশিয়া সরকারের সিদ্ধান্তে সেখানে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
১৫ লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক নেয়ার বিরোধিতা করে আসা মালয়েশীয় শ্রমিক সংগঠনগুলো তাদের সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও ম্যানুফ্যাকচারিং ও পাম প্ল্যান্টেশন খাতের উদ্যোক্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির গুরুত্বপূর্ণ বাজার। বর্তমানে প্রায় ছয় লাখ বাংলাদেশী সেখানে বিভিন্ন পেশায় রয়েছেন।
দীর্ঘদিন বন্ধ রাখার পর ২০১৩ সালে বাংলাদেশ থেকে কেবল ‘প্ল্যান্টেশন’ খাতে শ্রমিক নেয়া শুরু করে মালয়েশিয়া। এরপর গতবছর বাংলাদেশকে মালয়েশিয়ার জনশক্তির জন্য ‘সোর্স কান্ট্রির’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং সেবা, উৎপাদন, নির্মাণসহ অন্যান্য খাতে ১৫ লাখ কর্মী নেয়ার আলোচনা শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী রিচার্ড রায়ত জায়েম এবং বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি এতে সই করেন।
ওই চুক্তির আওতায় মালয়েশিয়া তাদের পাঁচটি খাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বয়ে ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী নেবে বলে অনুষ্ঠানের পর জানানো হয়।
কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই শুক্রবার সকালে মালয়েশিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি বাংলাদেশসহ সব ‘সোর্স কান্ট্রি’ থেকে জনশক্তি আমদানি স্থগিতের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, কতো শ্রমিক আমাদের প্রয়োজন সে বিষয়ে সরকার সন্তোষজনক তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত বিদেশী কর্মী নেয়া স্থগিত থাকবে।