সরবরাহ বাড়ায় এশিয়ায় স্থিতিশীল চালের বাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-০৪-১০ ১০:০৫:৫০
ভারতীয় চালের রফতানি মূল্য কমেছে চলতি সপ্তাহে। দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমাতে সহায়তা করেছে। এছাড়া অন্য শীর্ষ রফতানিকারক ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে শস্যটির দাম প্রায় অপরিবর্তিত ছিল। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
তথ্য বলছে, ভারত সরকার ভর্তুকি খাদ্যশস্য সরবরাহের লক্ষ্যে বিদ্যমান একটি স্কিমের সম্প্রসারণ করেছে। এর পরই দেশ থেকে চাল সরবরাহ বেড়ে যায়। চলতি সপ্তাহে শীর্ষ রফতানিকারক দেশটির ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চালের মূল্য কমে টনপ্রতি ৩৬৫-৩৬৯ ডলারে স্থির হয়েছে। এক সপ্তাহ আগেও প্রতি টনের দাম ছিল ৩৬৭-৩৭০ ডলার।
দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশের কাকিনাডাভিত্তিক এক রফতানিকারক বলেন, খোলা বাজারে চাল সরবরাহ পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি ঘটেছে। কারণ দেশটির সরকার গরিব মানুষের মাঝে বিনামূল্যে চাল ও গম সরবরাহ শুরু করেছে।
এদিকে থাইল্যান্ডে প্রতি টন ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দাম ৪০৮-৪১২ ডলারে নেমেছে। গত সপ্তাহে দাম ছিল টনপ্রতি ৪০৮-৪১০ ডলার। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চালের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। এ চাহিদা দাম বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়। এছাড়া জাহাজীকরণ ও রশদজনিত ব্যয় কিছুটা কমেছে। এটিও রফতানি মূল্য কমাতে সহায়তা করেছে। তাছাড়া নতুন মৌসুমের চাল বাজারে ঢুকতে শুরু করেছে। ফলে সরবরাহ আরো বাড়বে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পশুখাদ্য খাতেও চালের চাহিদা স্থিতিশীল রয়েছে।
ভিয়েতনামে প্রতি টন ভাঙা সেদ্ধ চালের দাম ৪০০-৪১৫ ডলারের মধ্যে রয়েছে। গত সপ্তাহেও দাম একই রকম ছিল।
সানবিডি/এনজে