এশিয়া কাপের যে ১০টি অজানা তথ্য অবাক করবে অাপনাকে

আপডেট: ২০১৬-০২-২০ ১২:০৭:০০


sakib-in-asia-cup20160219094605এশিয়া কাপের সেরার লড়াই শুরু হয়ে গেছে। বাছাই পর্ব দিয়ে আজ মাঠে গড়িয়েছে ১৩ তম এশিয়া কাপের আসর। এশিয়ার চার সহযোগি দেশের মধ্যে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ লড়াই। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে যাবে ৫ দলের মূল এশিয়া কাপ।

তার আগে আসুন জেনে নেওয়া যাক এশিয়া কাপের ১০টি অজানা কাহিনী:

১) এই প্রথমবার টি২০ ফরম্যাটে হচ্ছে এশিয়া কাপ। কারণ টি২০ বিশ্বকাপের ঠিক আগে আয়োজিত হওয়ায় প্রস্তুতি সেরে নেওয়া। ২০১৮ সাল থেকে ভারতে হতে চলা এশিয়া কাপ আবার ওয়ানডে ফরম্যাটে ফিরে যাবে। আবার ২০২০ সালের এশিয়া কাপ হবে টি২০ ফরম্যাটে। মানে বিশ্বকাপ অনুসারে রোটেশন পদ্ধতিতে একবার টি২০, একবার ওয়ানডে ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ। আবার এবারই প্রথম এশিয়া কাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাছাই পর্ব।

২) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের শততম সেঞ্চুরিটা এসেছিল এশিয়া কাপেই। ২০১২ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি বিরলতম এই রেকর্ড গড়েন শচীন। যদিও ওই ম্যাচে হেরে গিয়েছিল ভারত।

koli
৩) ১৯৮৪ সাল থেকে এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে। শতাংশের বিচারে সবচেয়ে সফল দেশ শ্রীলঙ্কা। ভারত আর শ্রীলঙ্কা দুটি দেশই পাঁচবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়। পাকিস্তান দু`বার চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১২ সালে বাংলাদেশ মাত্র একবারই ফাইনালে উঠতে সক্ষম হয়েছিল। তবে এশিয়া কাপে শ্রীলংকাই হল একমাত্র দেশ যারা প্রতিটা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ভারত ১৯৮৬ ও ১৯৯৩ সালে এশিয়া কাপে খেলেনি।

৪) প্রতিযোগিতায় এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রান বিরাট কোহলির (২০১২ সালে কোহলি করেন ১৮৩ রান)। ওই টুর্নামেন্টে মাত্র তিন ম্যাচ খেলে কোহলি দুটি সেঞ্চুরি, আর একটি হাফ সেঞ্চুরিসহ মোট ৩৫৭ রান করেন।  শ্রীলংকার ব্যাটসম্যান সানাথ জয়সুরিয়াই এশিয়া কাপে সর্বাধিক রান সংগ্রাহক। মোট ১২২০ রান করেছেন তিনি। জয়সুরিয়ার উত্তরসূরী কুমার সাঙ্গাকারা করেছেন ১০৭৫ রান এবং শচীন টেন্ডুলকার করেন ৯৭১ রান।

৫) টানা তিনবার এশিয়া কাপের আয়োজক বাংলাদেশ। এর আগে ২০১২ এবং ২০১৪ সালের এশিয়া কাপেরও আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, এ নিয়ে সর্বাধিক ৫ বার এশিয়া কাপের আয়োজক হলো বাংলাদেশ। চারবার এশিয়া কাপের আয়োজক হয়েছিল শ্রীলংকা।

srilanka
৬) এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকা। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের ওই আসরে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের নেতৃত্বে ভারত মহাসাগরের দ্বীপদেশটি পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা অর্জন করে।

৭) তামিম ইকবাল প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান, যিনি ২০১২ এশিয়া কাপে টানা ৪টি হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। তবে এবার এই ব্যাটসম্যানকে মিস করছে বাংলাদেশ। কারণ, প্রথমবারের মত বাবা হতে যাচ্ছেন তিনি। এশিয়া কাপ যখন মাঠে গড়াবে তখন তার পরিবারে আসবে নতুন অতিথি। তামিম এর আগেও, এশিয়া কাপের গত আসর (২০১৪ সালে) মিস করেছিলেন।

৮) এশিয়া কাপে বাংলাদেশ থেকে একবারই মাত্র টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন কেউ। ২০১২ আসরে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারটা জিতেছিলেন। ওই আসরে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ প্রায় জিতে গিয়েছিলো। কিন্তু ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২ রানে হারে মুশফিকুর রহিমের দল।

৯) ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনিই একমাত্র অধিনায়ক, যিনি এবার টস করতে নামলেই হয়ে যাবেন এশিয়া কাপের সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দেয়া অধিনায়ক। এর আগে এশিয়া কাপে তিনি মোট ১৩ টি ম্যাচ খেলেছেন। জিতেছেন ৯টিতে। হেরেছেন চারটিতে। ১৩ ম্যাচে এশিয়া কাপে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শ্রীলংকার অর্জুনা রানাতুঙ্গাও। আর একটি ম্যাচ খেললেই রানাতুঙ্গাকে ছাড়িয়ে যাবেন তিনি।

১০) এই প্রথম এশিয়া কাপে খেলছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান। এবারই প্রথম অনুষ্ঠিত হচ্ছে এশিয়া কাপের বাছাই পর্ব। এশিয়ার চার সহযোগি দেশ অংশ নিচ্ছে এই পর্বে। যাদের একটি হলো ওমান। বাকি তিন দেশ হচ্ছে আফগানিস্তান, আরব আমিরাত এবং হংকং। এশিয়া কাপে আফগানিস্তান ২০১৪ সালে এবং হংকং খেলেছিল ২০০৪ সালে। এছাড়া আরব আমিরাত প্রথম খেলেছিল ২০০৮ সালে।

সানবিডি/ঢাকা/রাআ