হিলিতে নয় মাসে ২৪ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০৪-১১ ১৪:৪০:৫২
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এ সময় বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার হিলি বন্দরে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৩১৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি রফতানিতে বেশকিছু প্রতিবন্ধকতা থাকায় এ পরিমাণ রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তবে অর্থবছরের বাকি সময়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হিলি স্থলবন্দর ব্যবহার করে ফল আমদানির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে। যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে এ বন্দর দিয়ে কোনো ফল আমদানি হয় না। যদি অন্যান্য বন্দরের মতো ফল আমদানি করা যায়, তাহলে যে লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে সেটি অর্জন করা সহজ হতো। এছাড়া ভারতে ব্যবসায়ীদের যে সংগঠন ছিল সেটির কমিটি ভেঙে গিয়েছে বর্তমানে সেখানে আহ্বায়ক কমিটি রয়েছে। এর একটি প্রভাব রয়েছে, এগুলো কেটে উঠে বন্দর দিয়ে এখন যেমন ১৮০ থেকে ২০০ ট্রাক পণ্য আসছে, সেটি ৩০০ ট্রাকে উন্নীত হতো। ফলে রাজস্ব আহরণে ঘাটতি পূরণ সম্ভব হতো।
বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আ্য্যসোসিয়েশনের সহসভাপতি আব্দুল আজিজ বলেন, হিলি স্থলবন্দরে চালের আমদানি শুল্ক বাড়ানোর কারণে বর্তমানে চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। এটি রাজস্ব ঘাটতির একটি কারণ। এছাড়া বন্দরের রাজস্ব আহরণের অন্যতম পণ্য পাথরের আমদানি কমে যাওয়ায় রাজস্ব আহরণও কমেছে।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা এসএম নুরুল আলম খান বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে নির্ধারীত লক্ষ্যমাত্রার বাড়তি ৮৭ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করে হিলি স্থলবন্দর। যার কারণে চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে দেয় এনবিআর।
সানবিডি/এনজে