রাবিতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ

প্রকাশ: ২০১৬-০২-২১ ২৩:৪৪:৪৩


RU Pic 21.02.2016রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে মহান ভাষা শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। দিসবটি উপলক্ষে শনিবার রাত ১২টা এক মিনিটে দিবসের প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, ভাষা আন্দোলনে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাত ১২টা এক মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর সায়েন উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার প্রফেসর মু. এন্তাজুল হকসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

এরপর ৫২’র ভাষা আন্দোলনে রফিক, জব্বার, সালাম, বরকতসহ সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, ছাত্রলীগের বিভিন্ন হল শাখা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ কর্মচারী ইউনিয়ন, রোটারেক্ট ক্লাব, পাঠক ফোরাম, রাবি শাখা আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদ, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী, প্রেসক্লাব, ছাত্র ইউনিয়ন, শ্রমিক ইউনিয়ন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, রাবি হাইয়ার স্টাডি ক্লাব, বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা সমিতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগ।
এদিকে, রোববার ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনসহ অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত উত্তোলন করা হয়। সকাল ৭টায় রাবি শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন আবাসিক হল ও বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি, সাংবাদিক সমিতি, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠন,বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ প্রভাত ফেরী করে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ ছাড়াও দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের পশ্চিম চত্বরে রাবি অফিসার সমিতির আলোচনাসভা, সকাল ১০টায় সিনেট ভবন চত্বরে চিত্রাংকন ও বাংলা হস্তলিপি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন। পরে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন উপাচার্য পত্নী মোমেনা জিনাত। সকাল সাড়ে ১০টায় নিজ নিজ কার্যালয়ে সহায়ক কর্মচারী সমিতি, পরিবহন টেকনিক্যাল কর্মচারী সমিতি ও সাধারণ কর্মচারী ইউনিয়নের এবং কেন্দ্রীয় কাফেটেরিয়ায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাবি ইউনিট কমা-ের আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া বাদ জোহর শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা করে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআনখানি ও মোনাজাত করা হয়। এদিন শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য খোলা রাখা হয়। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।