শিল্প কারখানায় ৪ ঘণ্টা গ্যাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-০৪-২১ ১৯:৪৩:৪৭
শিল্প শ্রেণির গ্রাহকদের গ্যাস রেশনিংয়ের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে পেট্রোবাংলা। যার ফলে আবার আগের মতো ২৪ ঘণ্টা শিল্প-কারখানায় গ্যাস দেওয়া হবে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) পেট্রোবাংলা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অর্থাৎ প্রতিদিন মোট ৪ (চার) ঘণ্টা সকল শিল্প শ্রেণির গ্রাহকদের গ্যাস ব্যবহার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হলো। এ সিদ্ধান্ত ২২ এপ্রিল শুক্রবার থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান শিল্পের স্বার্থে ১৫ দিনের জন্য শিল্প ইউনিটে প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা গ্যাস রেশনিংয়ের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি পোশাক ও টেক্সটাইলসহ রপ্তানি মুখী শিল্পে প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার অনুরোধ জানান, যাতে করে কারখানাগুলোপূর্ণ সক্ষমতা ব্যবহার করে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।
ফারুক হাসান সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ অনুরোধ জানান।
বৈঠকে বিজিএমইএএর সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন, তিতাস গ্যাসট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ হারুনুর রশীদ মোল্লাহ, পেট্রো বাংলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ কে এম বেঞ্জামিন রিয়াজি উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ নেতারা কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলা করে শিল্পের পুনরুদ্ধারের বর্তমান পরিস্থিতি প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
ফারুক হাসান বলেন, কাভিড-১৯ সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশী পোশাক প্রস্তুত কারকগণের শিল্পের সক্ষমতাধরে ও সময় মতো পণ্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেয়ার কারণে বৈশ্বিক ক্রেতারা বাংলাদেশি পোশাক প্রস্তুত কারকদের প্রতি আরও আস্থাশীল হয়েছে, ফল স্বরূপ বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান সংখ্যক ক্রয়াদেশ পাচ্ছে।
তিনি বলেন, পোশাক শিল্প,বিশেষ করে মোট রপ্তানি আয়ে ৮২ শতাংশের অধিক অবদান রেখে এবং লাখো লাখো মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি আরও বলেন, গ্যাসের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ পোশাক শিল্পকে আগামী দিনে তার প্রবৃদ্ধি ধরে লাখতে সাহায্য করবে এবং পোশাক শিল্পের উন্নয়ন মানে আরও রপ্তানি আয়, আরও কর্মসংস্থান এবং সামগ্রিক ভাবে বাংলাদেশের আরও উন্নয়ন।
এএ