সার সংকটে ব্রাজিলের সয়াবিন উৎপাদন গতি কমার শঙ্কা
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০৪-২৩ ১৫:৪০:৫৬
২০২২-২৩ মৌসুমে ব্রাজিলের সয়াবিন আবাদ বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বর্তমানে আবাদ বৃদ্ধির গতি কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ তেলবীজটি আবাদের জন্য দেশে পর্যাপ্ত সারের সরবরাহ নেই।
সম্প্রতি মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়, এক বছরের ব্যবধানে আবাদ বাড়বে মাত্র দশমিক ৫ শতাংশ। তবে প্রবৃদ্ধির হার গত বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৮ শতাংশ নিচে অবস্থান করবে।
এ বিষয়ে তথ্য বলছে, ২০২১-২২ মৌসুমে ব্রাজিলে অন্তত ৪ কোটি ৭ লাখ হেক্টর জমিতে সয়াবিন আবাদ করা হয়েছিল। তবে ২০২২-২৩ মৌসুমে আবাদি জমির পরিমাণ বেড়ে ৪ কোটি ২৫ লাখ হেক্টরে পৌঁছবে বলে মনে করছে ইউএসডিএ।
উৎপাদন গত বছরের ধস কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু সয়াবিনচাষীদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সারের ঊর্ধ্বমুখী ব্যয় ও প্রাপ্যতা। কারণ ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে সারের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে।
ইউএসডিএ বলছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে ব্রাজিলে সয়াবিনের প্রাক্কলিত উৎপাদনের পরিমাণ ১৪ কোটি ১০ লাখ টন। এ সময় প্রতি হেক্টরে ৩৫ লাখ ৩০ হাজার টন করে উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উৎপাদন আরো বাড়ার কথা ছিল। কিন্তু সারের ব্যবহার কমলে তা সম্ভব হবে না।
সয়াবিন উৎপাদনে সারসহ যেসব উপকরণ ব্যবহার হয়, সেসবের পুরোটাই আমদানি করে ব্রাজিল। দেশটিতে যে পরিমাণ সার সরবরাহ হয় তার ৪০ শতাংশই ব্যবহার হয় সয়াবিন উৎপাদনে। এর মধ্যে আবার ৮৫ শতাংশই আমদানীকৃত।
সানবিডি/এনজে