মুস্তাফিজকে নিয়ে এ কোন ষড়যন্ত্র করছে কোহলি!!
আপডেট: ২০১৬-০২-২৩ ১৯:১৮:২৫
আকাশে মুস্তাফিজ, বাতাসে মুস্তাফিজ! মিরপুর স্টেডিয়ামের পরিবেশ এখন এমনই। পরপর দুটো সংবাদ সম্মেলনের বেশির ভাগ সময় বিস্ময় বালকের নামই ঘুরেফিরে আসল। মাশরাফির পর কোহলির আলোচনাতেও থাকল মুস্তাফিজের নাম। ভারতের এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মনে করছেন, এবার এশিয়া কাপে ১৯ বছরের এই ছেলেটাই বড় ফ্যাক্টর হবে। তাকে সামলাতে ‘ভিন্ন কিছু’ করতে চাইছে তারা। আর সেভাবে নাকি প্রস্তুতিও শুরু করেছেন।
‘বাংলাদেশের মতো কন্ডিশনে একজন পেসার যদি ৪-৫ উইকেট নিয়ে ব্যাটসম্যানদের বিপাকে ফেলতে পারে, তখনই খেলাটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠে। এই ছেলেটার (মুস্তাফিজের) আলাদা এক ধরনের স্কিল আছে। আমারা সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছি। তাকে সামলানোর জন্য ভিন্ন যা কিছু করার করতে হবে।’ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে জানান কোহলি।
তবে সেই ‘ভিন্ন কিছু’ কী, সে বিষয়ে ম্যাচের আগে কিছু জানাতে চাননি তিনি। শুরু করেন মুস্তাফিজ-বন্দনা, ‘মুস্তাফিজ গত এক বছরে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে। এতো অল্প বয়সী একজন বোলারকে এভাবে বোলিং করতে দেখাটা সত্যিই রোমাঞ্চকর।’
এই ভারতের বিপক্ষেই গত বছর ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় ‘বিস্ময় বালকে’র। এরপর থেকে বিশ্বক্রিকেটে চলছে তার ‘ওয়ান ম্যান শো’। কয়েক মাসের ব্যবধানে আবার প্রতিপক্ষ যখন সেই ভারত, তখন তার নামই সবার আগে উচ্চারিত হবে-তাতে আর অবাক হওয়ার কী আছে।
গত বছর মুস্তাফিজের অসাধারণ বোলিং ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ গুড়িয়ে দিয়েছিল। স্মৃতিচারণ করতে যেয়ে কোহলি বলেন, ‘১৪০ কি.মি.-এর কাছাকাছির গতির সঙ্গে স্লোয়ার বল করছিল মুস্তাফিজ। আমাদের জন্য এটা ছিলো ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা।’
এই ধরনের বোলারদের বিপক্ষে ব্যাটিং করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিরাট কোহলি। তিনি বলেন, ‘এমন বোলারের বিপক্ষে ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জ থাকে। তবে এই চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং আরও বিকশিত করা সম্ভব।’
‘মুস্তাফিজের মতো বোলাররা ক্রিকেটের জন্য দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। এমন কিছু বোলার থাকা জরুরি যারা ব্যাটসম্যানদের বিপাকে ফেলতে পারে।’
গত বছর জুনে ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। তখন সিরিজ জিততে ভূমিকা রেখেছিলেন মুস্তাফিজ। অভিষেক ম্যাচে ৫ উইকেটের পর, দ্বিতীয় ম্যাচেও নিয়েছিলেন ৬টি উইকেট। এরপর দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। সব মিলিয়ে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ৯ ম্যাচে নিয়েছেন ২৬ উইকেট। অন্যদিকে ৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে মুস্তাফিজ উইকেট নিয়েছেন দশটি। কাল থেকে শুরু তার আরেকটা যুদ্ধ। সঙ্গে আরেকটা জয়?
উত্তরটা তোলা থাকা সময়ের হাতে!
সানবিডি/ঢাকা/রাআ