এমএইচ১৭ বিধ্বস্তের রহস্য ফাঁস হচ্ছে?

প্রকাশ: ২০১৫-১০-১৩ ১২:১৯:১৯


531732702_96571721

২০১৪ সালে ইউক্রেনে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের বিমান এমএইচ১৭ বিধ্বস্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করতে যাচ্ছে নেদারল্যান্ডস। ওই ঘটনায় বিমানটিতে থাকা ২৯৮ জন যাত্রীর সবাই নিহত হয়েছিলেন। নিহতদের মধ্যে ১৯৩ জনই ছিলেন নেদারল্যন্ডসের নাগরিক।

প্রথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বিমানের বাইরের কোন বস্তুর তীব্র আঘাতেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এ ‘বস্তু’ একটি শক্তিশালী এয়ার মিসাইল বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

বিমানটি যখন বিধ্বস্ত হয়, তখন ক্রাইমিয়া ইস্যুতে ইউক্রেন-রাশিয়া বিরোধ চরমে। বোয়িং৭৭৭ বিমানটি বিধ্বস্তের জন্য ইউক্রেন ও রাশিয়া প্রথম থেকেই পরস্পরকে দোষারোপ করে আসছে। তবে নেদারল্যান্ডসের করা রিপোর্টে কে কাকে দোষারোপ করছে, সে সম্পর্কে কোন কিছু থাকছে না।

একই ঘটনায় মস্কোও তাদের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

ছবি:এএফপি

বিমানটি আমরস্টাডম থেকে কুয়ালালামপুরের দিকে যাচ্ছিলো। ১৭ জুলাই ২০১৪ পূর্ব ইউক্রেনের রাশিয়ান বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলে এটি বিধ্বস্ত হয়। তখন ওই অঞ্চলে রাশিয়ান বিদ্রোহীদের সাথে ইউক্রেনের সরকারী বাহিনীর তীব্র সংঘর্ষ চলছিলো।

ডাচ তদন্ত রিপোর্টটি প্রথমে যারা স্বজন হারিয়েছেন তাদের দেখানো হবে। এর পর গিলজ রিজেন মিলিটারি বেজে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করা হবে। দোনেৎস্ক থেকে উদ্ধারকৃত বিমানটির ধ্বংসাবশেষও প্রদর্শন করবে এ তদন্ত দল।

ডাচ রিপোর্টে মূল চারটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে।
১.মাঝ আকাশে কি এমন ঘটেছিলো যে বিমানটিকে এমন পরিণতি বরণ করে নিতে হলো।
২.বিমানটি কেন সংঘর্ষপূর্ণ এলাকার উপর দিয়ে যাচ্ছিলো।
৩.বিমানের কিছু কিছু যাত্রীর স্বজনদের তাদের প্রিয়জনকে হারানোর ঘটনা কেন চারদিন পর নিশ্চিত করা হলো।
৪.কোন পরিস্থিতিতে বিমানের ক্রু ও যাত্রীদের তাদের চূড়ান্ত পরিণতির কথা জানানো হয়েছিলো।
ছবি:এএফপি
একথা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, ডাচ রিপোর্টে এ ঘটনার জন্য সরাসরি কাউকে দোষারোপ করা হবে না। শুধু ঘটনার কারণ বা কীভাবে ঘটনাটি ঘটল তা বর্ণনা করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ এর রহস্যজনক অন্তর্ধানের রেশ কাটতে না কাটতেই এমএইচ১৭ বিধ্বস্ত হয়। পরপর এ দুটি ঘটনায় বিশ্বজুড়ে বিমান যাত্রীদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে মারাত্নক উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যায় মালয়েশিয়া।এমএইচ৩৭০ এর রহস্য ফাঁসে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অভিযান চালায় মালয়েশিয়া। কিন্তু তাতেও রহস্যের তেমন কোন কূল কিনারা হয় নি। অবশ্য সম্প্রতি একটি ফরাসী দ্বীপে একটি বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটিই সে নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ। কিন্তু বিমানটির আসলে কি হয়েছে, তা এখনো অজানাই রয়ে গেছে।
এখন মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের দ্বিতীয় বিমানটির ক্ষেত্রে আসলে কি হয়েছে, তা ডাচ তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যাবে বলেই আমা করছেন সবাই।