কাবুলে বোমা হামলায় নিহত ১৫
প্রকাশ: ২০১৬-০২-২৮ ১১:৫৮:০৩
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৩৩ জন। হতাহতদের অধিকাংশই আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদস্য। এমন এক সময়ে এ হামলার ঘটনাটি ঘটল যখন দেশটিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে নতুন করে শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও পাকিস্তান।
দেশটির সরকার বিরোধী গোষ্ঠী তালেবান শনিবারের ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে। দলের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ওই হামলায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমপক্ষে ২৩ কর্মকর্তা নিহত এবং আরো ২৯ জন আহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে কোনো বেসামরিক লোকজন নেই বলেও তিনি দাবি করেছেন।
শনিবার পূর্বাঞ্চলীয় কুনার প্রদেশে হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেই কাবুলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে হামলা চালায় একজন আত্মঘাতী হামলাকারী। এর আগে কুনার হামলায় নিহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ১৩ জন। কাবুলে ওই দিন বিকেলে যখন হামলাটি চালান হয় তখন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীরা অফিস শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দৌলত ওয়াজিরির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
হামলার পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশ ও সেনারা ঘটনাস্থল চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। ওই এলাকা থেকে ঘন কালো ধোঁয়া উড়ছে এবং ঘটনাস্থলে একাধিক মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ওই হামলার সময় ঘটনাস্থল সংলগ্ন একটি ব্রিজ অতিক্রম করছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী জুলগাই। তিনি সেখানে ৩০টির মত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন। হামলায় বেশ কয়েকটি গাড়িও ধ্বংস হয়েছে।
দেশটিতে এমন এক সময়ে ওই দুটি ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটল যখন আফগানিস্তান, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনা কর্মকর্তারা নতুন করে কাবুল সরকার ও তালেবানদের মধ্যে সরাসরি শান্তি আলোচনা শুরু করতে তৎপর হয়েছেন। আগামী সপ্তাহে ইসলামাবাদে ওই আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে শনিবার কুনার হামলার পর প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, যে গোষ্ঠী নীরিহ মানুষদের হত্যা করে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না তার সরকার। তার দেশের নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখবে বলেও তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।