পুঁজিবাজারবান্ধব বাজেট প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের

আপডেট: ২০২৩-০৬-০১ ০৬:৩৯:১৬


পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও গতিশীলতা বাড়াতে আসন্ন ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু সুপারিশ ও দাবি জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, ওই সুপারিশ ও দাবি বাস্তবায়িত হলে আসন্ন বাজেট হবে পুঁজিবাজারবান্ধব।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বেলা ৩টায় জাতীয় সংসদে চলমান বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন। আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছরের বাজেট কার্যকর হবে।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অর্থমন্ত্রণালয়ের কাছে ইতিপূর্বে নানা সুপাশি ও দাবি জমা দিয়েছে। তবে বাজেটে এসব সুপারিশ ও দাবির কতটুকু প্রতিফলিত ঘটতে যাচ্ছে সে অপেক্ষায় রয়েছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।

আসন্ন ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ও দাবি তুলে ধরা হলো-

অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগের সুযোগ: ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগের সুযোগ অব্যাহত রাখা এটা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের দাবি। ৫ থেকে ১০ শতাংশ আয়কর প্রদানের মাধ্যমে এবং বিনা প্রশ্নে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ অব্যাহত রাখার পুঁজিবাজার যেমন শক্তিশালী হবে, তেমনি সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে বলে মনে করে তারা।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হ্রাস : বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২২.৫০ শতাংশ এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ৩০ শতাংশ রয়েছে। তবে ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, টেলিকম, ট্যোবাকো ইত্যাদি খাত এ আওতার বাইরে রয়েছে। অর্থাৎ তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য কর রেয়াত ৭.৫ শতাংশ আছে। ফলে এ সুবিধা উদ্যোক্তাদের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য উৎসাহিত করে না। তাই আসন্ন ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করে সংশ্লিষ্টরা।

দ্বৈত কর প্রত্যাহার: করপোরেট কর কর্তনের পর লভ্যাংশ দেওয়া হয়। লভ্যাংশ দেওয়ার সময় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে অগ্রিম কর কর্তন করা হয়। পরবর্তী সময়ে আবার লভ্যাংশ গ্রহীতার ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্নের সময় তার ওপর প্রযোজ্য হারে কর দিতে হয়। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ গ্রহণ না করে রেকর্ড তারিখের আগেই শেয়ার বিক্রয় করে দেয়, যা পুঁজিবাজারকে অস্থির করে তুলে। এভাবে কর প্রদান দ্বৈত কর নীতির আওতায় পড়ে। তাই আসন্ন প্রস্তাবিত বাজেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো লভ্যাংশের ঘোষণার আগে সরকারকে অগ্রীম যে ট্যাক্স দিয়ে থাকে, সেটাকে চূরান্ত ট্যাক্স হিসাবে গণ্য করার সুপারিশ করা হয়েছে।

লভ্যাংশের আয়ে করমুক্ত সীমা বাড়ানো: ব্যক্তির ক্ষেত্রে লভ্যাংশ থেকে আয়ের ওপর করমুক্ত সীমা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। এ জন্য লভ্যাংশ থেকে আয়ের ওপর করমুক্ত সীমা দুই লাখ টাকা পর্যন্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ভালো লভ্যাংশ প্রদানকারী সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ বাড়বে বলে জানান তারা। লভ্যাংশের প্রতি বিনিয়োগকারীর আগ্রহ দেখে অপেক্ষাকৃত দুর্বল কোম্পানিগুলো তাদের আর্থিক উন্নয়ন ও ব্যবসায়িক উন্নয়নে মনোয়োগী হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন 

Sunbd Newsক্যাপিটাল নিউজক্যাপিটাল ভিউজস্টক নিউজশেয়ারবাজারের খবরা-খবর

এএ