সাতক্ষীরায় বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত

জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২২-০৭-১৫ ১৯:০৪:১১


সাতক্ষীরার সুন্দরবন সংলগ্ন খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে শ্যামনগর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে হাজার হাজার হেক্টর মৎস্য ঘের ও ছোট-বড় পুকুরের মাছ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার।

গত মধ্যরাতে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দূর্গাবাটি সাইক্লোন শেল্টার সংলগ্ন এলাকায় নদীর প্রবল জোয়ারে ২০০ ফুট এলাকাজুড়ে উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুনারায় জোয়ার শুরু হলে হু হু করে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে থাকে। এতে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পশ্চিম পোড়াকাটলা, পূর্ব পোড়াকাটলা, পশ্চিম ও পূর্ব দূর্গাবাটি, আড়পাঙ্গাশিয়া, দাতিনাখালীসহ ৬টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল নিমিষেই প্লাবিত হয়। এছাড়া হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের লোনা পানিতে একাকার হয়ে যায়। ইতিমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার।

স্থানীয়দের দাবি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের শ্যামনগরের ৫ নং পোল্ডারের ওই অংশের বাঁধ দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। সংস্কার না করায় হঠাৎ ভাঙনের মুখে পড়ে বেড়িবাঁধটি।

বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম জানান, সকালে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রিংবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে। তবে দুপুরের জোয়ারে কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। জোয়ার নামতে নামতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। সন্ধ্যায় কাজ করা কঠিন হবে।

তিনি অভিযোগ করেন, পাশের খোলপেটুয়া নদী থেকে অবৈধভাবে প্রভাবশালীরা বালু উত্তোলন করায় চর দেবে গিয়ে পার্শবর্তী অংশের বাঁধে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের শ্যামনগর অঞ্চলের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, খোলপেটুয়া নদীর চর দেবে যাওয়ার কারণে ১৫০ থেকে ২০০ ফুট বেঁড়িবাধ পানিতে ধ্বসে গেছে। সকাল থেকে বাঁশ দিয়ে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছিল। জোয়ারের কারণে কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। রিংবাঁধ নির্মাণের জন্য ১৫ হাজার জিও ব্যাগ ও ১ লাখ সিনথেটিক ব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে। জোয়ার নেমেগেলে বাঁধটি সংস্কার করা হবে।

এএ