ডাটা নিয়ন্ত্রণ নয়, সুরক্ষার জন্য আইন হবে: আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০৭-১৭ ১৮:১০:০৫


সবার সুরক্ষার জন্যই ডাটা সংরক্ষণ আইন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

রোববার (১৭ জুলাই) ডাটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট ২০২২-এর ওপর স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

রাজধানীর হোটেল রেডিসনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবেই বলেছি যে ডাটা প্রোটেকশন আইনটি ডাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়। এটি হবে ডাটা সুরক্ষার জন্য। এ বিষয়ে আরও দুই-তিনটি কনসালটেশন হবে। সেখান থেকে যুক্তিযুক্ত পরামর্শ গ্রহণ করা হবে।

‘যেটা সবার জন্য মঙ্গলজনক সেটাই করা হবে। আগস্ট মাস পর্যন্ত এটা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাব। সেপ্টেম্বর মাসে আইনের খসড়া প্রস্তুত করে কেবিনেটে উঠাব। এরপর ডিসেম্বর নাগাদ সংসদে উত্থাপন করা হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন আমাদের সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন, তখনই তিনি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার গ্যারান্টি দিয়ে গেছেন। সেখানে হাত দেয়ার ক্ষমতা কারও নাই। আমরা যেহেতু আইনের শাসনে বিশ্বাস করি এবং জাতির পিতার নীতি অনুসরণ করি, সেহেতু আমরা সেটিতে হাত দেবো না।’

তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ‘উপাত্ত সংরক্ষণ আইনের মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের প্রত্যেক নাগরিকের, প্রতিষ্ঠানের ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারবো।

‘এখন ডাটাকে নতুন সম্পদ বলা হচ্ছে। যাদের যত বেশি তথ্য-উপাত্ত থাকছে তারা তত বেশি ধনী। কারণ সেই ডাটা গবেষণা করে তারা নতুন নতুন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে। নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন করতে পারছে। এটা এখন ট্রিলিয়ন ডলার মার্কেট প্রাইজ হয়ে যাচ্ছে।

‘বিভিন্ন কোম্পানি ফ্রি সার্ভিস দিয়ে আমাদের তথ্য নিয়ে যাচ্ছে। এজন্যই আমাদের ডাটা সংরক্ষণ আইন করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।’

পলক বলেন, ‘এই আইন হলে আমাদের তথ্য-উপাত্ত বাণিজ্যিকভাবেও আমরা ব্যবহার করতে পারব। তখন অনুমতিসাপেক্ষে এই তথ্য-উপাত্ত ব্যবহারে আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাধ্য করতে পারব।

অনুষ্ঠানে স্টেকহোল্ডাররা তাদের মতামত উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সাবেক আইন সচিব শহিদুল হক প্রমুখ।

এএ