সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য ২৫ হাজার কোটির তহবিল

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০৭-১৯ ২১:১৭:৩৩


কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন উদ্যোক্তারা ।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক এ তহবিল বরাদ্দের বিষয়ে একটি নীতিমালা দিয়ে সার্কুলার জারি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, দেশের সিএমএসএমই খাতে নিয়োজিত উদ্যোক্তাদের মাঝে সহজ শর্তে ঋণের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব হলে তা জাতীয় অর্থনৈতিকভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জনকে অধিকতর গতিশীল করবে। সেই লক্ষ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হবে।

“সিএমএসএমই খাতে মেয়াদী ঋণের বিপরীতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম’ নামে তহবিলের মেয়াদ তিন বছর। গ্রাহকের ঋণের ক্রমহ্রাসমান স্থিতির উপর সুদ আরোপ করতে হবে।

সার্কুলারে বলা হয়, ক্লাস্টারভুক্ত সিএমএসএমই উদ্যোক্তারা পুনঃঅর্থায়নের ক্ষেত্রে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিতে হবে। নারী উদ্যোক্তা, বিশেষ চাহিদার উদ্যোক্তা এবং যে কোনো দুর্যোগে (যেমন: নদীভাঙন, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, মঙ্গা, আগুন, ভূমিকম্প, ভবনধস, কোভিড-১৯ এর মতো অতিমারী) ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ তহবিলের আওতায় পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পাবে।

বিতরণকৃত মোট ঋণের ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মাঝে এবং সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ মাঝারি উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করতে হবে। এছাড়া তহবিলে বিতরণ করা ঋণের ন্যূনতম ৭০ শতাংশ উৎপাদন ও সেবা খাতে এবং সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ ব্যবসা খাতে দিতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, যারা ঋণ খেলাপি তারা এ পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পাবেন না। ঋণ গ্রহীতার ঋণের শ্রেণীকরণ বিষয়ে সিআইবি হতে নিশ্চিত হতে হবে।

ঋণের ক্ষেত্রে গ্রাহক পর্যায়ে গ্রেস পিরিয়ড হবে সর্বোচ্চ ৬ মাস। শিল্প/সেবা/ব্যবসার ধরনভেদে ঋণের মেয়াদ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নির্ধারিত হবে। তবে গ্রেস পিরিয়ডসহ ঋণের মেয়াদ ৫ বছরের বেশি হবে না। পুনঃঅর্থায়নের মেয়াদ ঋণের মেয়াদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারণ করা হবে।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ,আদায় ও সদ্ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয় নিজেরা তদারকির মাধ্যমে নিশ্চিত করবে। প্রতি তিন মাস শেষে অব্যবহিত ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে এ সংক্রান্ত বিবরণী নির্ধারিত ছকে দাখিল করতে হবে।

ক্ষেত্রবিশেষে দ্বৈবচয়ন ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোনো সময়ে পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

এএ