পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ঢাকা কলেজের মাহমুদ
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০৭-২১ ২০:৫২:২৬
স্বাস্থ্য বিষয়ক সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন দৈনিক আমার সংবাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান। এরআগে ২০২০ সলে তিনি পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া ফেলোশিপ পেয়েছিলেন। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর প্রতি বছরের ন্যয় এ বছরও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার শ্রেষ্ঠ সাত জন প্রতিবেদককে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। মাহমুদুল হাসান মা ও শিশু মৃত্যু হ্রাসে সফল বাংলাদেশ শীর্ষক প্রতিবেদনের জন্য এই পুরষ্কারে ভুষিত হোন।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিটে মাহমুদুল হাসানের হাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের পক্ষে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেন। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপন ও পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মাহমুদুল হাসান ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের একজন শিক্ষার্থী। তিনি ২০১৬ সালে সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান সম্পাদিত তারুণ্য নির্ভর অনলাইন নিউজ পোর্টাল পূর্বপশ্চিমের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর ২০১৭ সালে বাংলাদেশের খ্যাতনামা জাতীয় দৈনিক সংবাদে যোগদান করেন। ২০১৮ সালের শেষের দিকে কিছুদিন জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমেও কাজ করেন। গত বছরের শুরু থেকে তিনি তারুণ্য নির্ভর জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদের স্বাস্থ্য বিটে একজন প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করছেন৷
মাহমুদুল হাসানের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলায়। তার পিতা এ কে এম নজরুল ইসলাম পেশায় শিক্ষক ও মাতা হাসিনা ইসলাম গৃহিণী। পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তান মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিতর্কেও সমান পারদর্শী। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে বেশ কয়েক বার শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয়েছেন। প্রশিক্ষক হিসেবেও বেশ নাম ডাক কুড়িয়েছেন এই তরুণ। ২০১৭ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সেরা প্রশিক্ষক নির্বাচিত হন। তিনি ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতিকে নেতৃত্ব দেওয়া ছাড়াও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সক্রিয় সদস্য হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করছেন। তাছাড়া, ঢাকায় কর্মরত শরীয়তপুর জেলার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকাস্থ শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতির দফতর সম্পাদক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন ।
অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া মানুষের স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিতকরণে আমার এই লেখনী অব্যাহত থাকবে। গণমাধ্যমে কর্মরত সবার তরে এই অ্যাওয়ার্ডটি আমি উৎসর্গ করলাম৷ আজকের এই অনুপ্রেরণা থেকে আগামীতে আরও কর্মচঞ্চল হয়ে কাজ করতে চাই৷’
উল্লেখ্য, প্রতি বছর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরিবার পরিকল্পনা, মা, শিশু ও নবজাতক স্বাস্থ্য এবং জনসংখ্যা বিষয়ক লেখালেখির জন্য সাংবাদিকদের মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে অর্থ সম্মাননা, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ পরিবার পরিকল্পনাকর্মী ও সেবা দানাকারী প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয় এবং ৭ জন গণমাধ্যমকর্মীকে মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
এম জি