রিজার্ভের টাকা চুরির অভিযোগ অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের
আপডেট: ২০১৬-০৩-০৮ ১৭:০৭:১৭
বাংলাদেশ ব্যাংকের নামে ফেডারেল রিজার্ভে থাকা অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ চুরির অভিযোগ অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদেন এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ চুরির কোনো নতিপত্র ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের কাছে নেই। ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশ করে অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই। ফেডারেল সিস্টেমে দুর্নীতিরও কোনো প্রমাণ নেই।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রক্ষিত স্থিতি ‘হ্যাকড’ হয়েছে। এতে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথমে ফিলিপাইনের একটি ব্যাংকিং চ্যানেলে স্থানান্তর করে হ্যাকাররা। পরবর্তীতে সেখান থেকে এই অর্থ অন্য কোথাও পাচার করা হয়েছে। এর জন্য চীনার হ্যাকারদেরই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দেশীয় সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতেও এই সংবাদ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করা হয়। এর পরই বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরির অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে দ্য ফেডারেল রেজার্ভ।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রক্ষিত স্থিতি থেকে ‘হ্যাকড’ হওয়ার সাম্প্রতিক ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অর্থের একাংশ ইতোমধ্যে আদায় করা সম্ভব হয়েছে। অবশিষ্ট অর্থের গন্তব্য সনাক্ত করে তা ফেরত আদায়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইটেলিজেন্স ইউনিট ফিলিপাইনের এন্টি-মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষের সাথে সক্রিয় রয়েছে।
ইতোমধ্যে ফিলিপাইনের এন্টি-মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষ তাদের দেশের আদালতে মামলা দায়ের করেছে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবগুলোর ফ্রিজ (জব্দ) আদেশ আদালত থেকে সংগ্রহ করেছে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকের দীর্ঘ অভিজ্ঞাতা সম্পন্ন একজন সাইবার বিশেষজ্ঞ পরামর্শক ও তার ফরেন্সিক ইনভেস্টিগেশন টিম এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের টিমের সঙ্গে কাজ করছেন।
এতে আরও বলা হয়, ফিলিপাইনের অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষের তদন্ত সম্পন্ন হবার সঙ্গে সঙ্গেই অর্থ ফেরত আদায়ের আদালতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনবোধে বিশ্বব্যাংকের স্টোলেন অ্যাসেটস রিকভারি (এসটিএআর) প্রক্রিয়াও অবলম্বিত হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে দেশ এবং দেশের বাহিরে তদন্তলব্ধ তথ্যাদি অপ্রকাশিত রাখা হচ্ছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বৃহত্তর আর্থিক খাতে সাইবার নিরাপত্তা সার্বিকভাবে নিশ্ছিদ্র করার প্রক্রিয়া জোরালোভাবে সচল রাখা হয়েছে।
সানবিডি/ঢাকা/আহো