এবার ২ শতাংশ সার্কিট ব্রেকারও প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০৭-২৮ ২১:১২:০৭


পুঁজিবাজারে ধস ঠেকাতে আবার প্রতিটি শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস কার্যকরের পাশাপাশি এক দিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশও তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ফলে রোববার থেকে কোনো কোম্পানির দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমার মতো পতনের সর্বোচ্চ সীমাও হবে ১০ শতাংশ।

অবশ্য আপাতত কোনো কোম্পানির দর এক দিনে ১০ শতাংশ কমার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ গত পাঁচ কর্মদিবসের গড় মূল্য ধরে যে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ হবে, তার চেয়ে নিচে নামতে পারবে না শেয়ারদর। আর ফ্লোরের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি দাম এই মুহূর্তে কোনো কোম্পানির আছে কি না, সেটিই প্রশ্ন।

দরপতনের সার্কিট ব্রেকার ২ শতাংশ উঠিয়ে দেয়ার বিষয়টি অবশ্য ফ্লোর প্রাইস ফেরানোর আদেশে নেই। তবে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

বৃহস্পতিবার বিকেলে এক আদেশে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজারে চলমান পতন ঠেকাতে আগামী রোববার থেকে ফ্লোর প্রাইস কার্যকরের ঘোষণা দেয় বিএসইসি।

শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ‘ফ্লোর প্রাইস দিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন আর দরপতনের সার্কিট ব্রেকার ২ শতাংশ থাকবে না। স্বাভাবিকভাবে লেনদেন হবে।’

বিভিন্ন সময় ফ্লোর প্রাইস কার্যকরের দাবি উঠলেও না দেয়ার পক্ষে অনড় ছিল বিএসইসি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএসইসির কাছে এর কোনো বিকল্প ছিল না।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে দর সংশোধনে যাওয়ার পর পুঁজিবাজার আর ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। এর মধ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলার পর থেকে শুরু হয় নতুন এক সংকট।

১৩ মাস পর মূল্যসূচক প্রথমবারের মতো নেমে গেছে ছয় হাজার পয়েন্টের নিচে। এর মধ্যে গত সপ্তাহের পুরোটা, তার আগের সপ্তাহের শেষ তিন দিন এবং চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ধসের মধ্য দিয়ে টানা ৯ কর্মদিবসে সূচক পড়ে ৩১৪ পয়েন্ট।

এই পরিস্থিতিতে পছন্দ না হলেও ফ্লোর প্রাইস দিতে হয়েছে বলে জানান বিএসইসি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘সব সময় যেটা বলি, এখনই তাই বলব, রেগুলেটর হিসেবে এভাবে ইন্টারফেয়ার করা মার্কেটের জন্য ভালো নয়। ঠিকও না। যখন দেখলাম যে, বৈশ্বিক অর্থনীতির কারণে পুঁজিবাজারে যে পতন এতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের খুব ব্লিডিং হচ্ছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থেই ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও ফ্লোর প্রাইস দেয়া হয়েছে।’

ফ্লোর প্রাইস আরোপের ফলে দর পতন ঠেকানো যাবে বলে মনে করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। ধারণা করছেন, এতে আগেরবারের মতোই লেনদেন কমে যাবে।

তিনি বলেন, ‘দরপতন থেমে যাবে। ট্রানজেকশন কমে যাবে। কিন্তু আমার কিছু করার নেই। আগের মতো তিন-চার হাজারে সূচক নিয়ে গিয়ে মানুষকে ধ্বংস করব না। তার আগে ছয় হাজারেই থামাই।’

পুঁজিবাজার আবার স্থিতিশীল হলে দ্রুতই ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা টেম্পোরারি বেসিসে। মার্কেট যেই একটু স্ট্যাবল হবে তৎক্ষণাৎ ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হবে।

‘আমাদের দেশের কোনো সমস্যা নেই। বাইরের সমস্যা এসে পড়েছে। যুদ্ধ শেষ হলে এবং অবস্থার পরিবর্তন হলে খুব দ্রুতই তুলে নেয়া হবে।’

পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন 

Sunbd Newsক্যাপিটাল নিউজক্যাপিটাল ভিউজস্টক নিউজশেয়ারবাজারের খবরা-খবর

এএ