গ্রাহকদের টাকা না দিলে এ খাতে ধস নামবে: আইডিআরএ চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০৮-০৪ ০৯:০৫:৪৩


গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে না পারলে বীমা খাতে ধস নামবে বলে মন্তব্য করেছেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী। তিনি বলেন, নতুন যে ১৩টি বীমা কোম্পানি আছে আগামী কিছু দিন পরই তাদের বীমা দাবি দেয়া শুরু হবে। এসব কোম্পানির আর্থিক ভিত্তি ঠিক না থাকলে বীমা দাবি পরিশোধ করতে সমস্যা হবে।

বেসরকারি বীমা কোম্পানি পপুলার লাইফ‌ ইন্স্যুরেন্সের বীমা দাবি পরিশোধ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বুধবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে এই বীমা দাবি পরিশোধ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেন, বীমা খাতের ভাবমূর্তি ভালো না। তবে এ খাতের সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই সরকার এ খাতের প্রতি অনেক গুরুত্ব দিয়েছে। তিনি বলেন, ব্যাংক, বীমা ও পুঁজিবাজার সমানতালে না চললে দেশ ভালোভাবে চলতে পারে না। দেশের উন্নয়নে বীমা খাতকে অবশ্যই ভালো করতে হবে।

মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেন, বীমার নেতিবাচক ভাবমূর্তির অন্যতম কারণ সুশাসনের অভাব। আইডিআরএ খাতটিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। তিনি বলেন, কোম্পানিগুলো উচ্চ হারে কমিশন দিয়ে বীমা ব্যবসা করছে। তাদের প্রশাসনিক খরচও অনেক বেশি। অনেক কোম্পানি শতভাগ বা তারও বেশি খরচ করছে। তাই দাবি পরিশোধ করতে সমস্যা হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক।

বীমা খাত অদক্ষ জনবল দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে উল্লেখ করে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, অদক্ষতার কারণে তারা গ্রাহকদের এটা সেটা বুঝিয়ে বীমা করায়। বীমার সঠিক তথ্য তারা গ্রাহকদের দেয় না। এ কারণে বীমার প্রতি মানুষে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, সার্ভেয়ারদের রিপোর্টের কারণেও অনেক সময় মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়ে। সার্ভেয়ারদেরও ত্রুটি-বিচ্চুতি রয়েছে।

আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, বীমা খাতের উন্নয়নে আগামী ৫ বছরের কর্মপরিকল্পনা তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছি। আমি হয়তো তিন বছর থাকব। এরপর অন্য কেউ আইডিআরএ চেয়ারম্যান হবে তিনি বাকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন। জয়নুল বারী আরো বলেন, দায় আমাদেরই। কারণ বীমা খাত পরিচালনার জন্য আইডিআরএ গঠন করা হয়েছে। তবে অনেক নেতিবাচকের মধ্যেও গেলো ১০ বছরে আইডিআরএ বেশ কিছু কাজ করেছে। যেগুলোর সুফলও আমরা পাচ্ছি।