দাম বেড়েছে সবজির কমেছে ডিমের

প্রকাশ: ২০১৬-০৩-১১ ১৩:১৭:৫৬


animated-pics-of-fruits-and-vegetables-wallpaperশীত শেষ তাই কমেছে সবজির সরবরাহ। ফলে আলু, বেগুনসহ অধিকাংশ সবজির দাম বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজের দামও উর্দ্ধমুখী। তবে কয়েক সপ্তাহ চড়া দামে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে কমে এসেছে ডিমের দাম। পাশাপাশি কমেছে মসুর ডাল ও দেশি রসুনের দাম। এছাড়া আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগী, চাল ও চিনি।

আজ রাজধানীর পলাশী, হাতিরপুল, কারওয়ান বাজার, শান্তিনগরসহ কয়েকটি বাজারে গিয়ে এবং খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।

শীত শেষ হয়ে আসায় সবজির সরবরাহ ধীরে ধীরে কমছে। দামেও তার প্রভাব লক্ষ্যণীয়। সপ্তাহের ব্যবধানে আলু, বেগুনসহ অধিকাংশ সবজির দাম বেড়েছে। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন সবজি বাজাওে এলেও তার দাম অনেক বেশি। ব্যবসায়ীরা জানান, বছরের এসময়ে সবজির দাম বাড়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কারণ শীতের সবজি প্রায় শেষ। আর গরমের সবজির ও সরবরাহ এখনও বাড়েনি। বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহেও যা বিক্রি হয়েছে ১২ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শশা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঝিঙে ও চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ২৫ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ২০ থেকে ২৫ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি ফালি ১৫ থেকে ২০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতিটি ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম নেয়া হচ্ছে ৫৫ থেকে ৭০ টাকা।

এদিকে গত ৩/৪ সপ্তাহ ধরেই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এক মাস আগেও ২৫ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে দেশি ও বিদেশি পেঁয়াজ বিক্রি হলেও এখন দেশিটার দাম নেয়া হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা প্রতি কেজি। তবে আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ আগের মতোই ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে শীতকালীন কাঁচা পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গিয়েছে। এজন্য দাম বাড়ছে। তবে মাস খানেক পরেই ক্ষেত থেকে শুকনা পেঁয়াজ আসা শুরু হলে আবার এর দাম কমে আসবে বলে তারা আশার কথা শোনালেন।

বাজারে নতুন দেশি রসুন এসেছে। দামও কমেছে। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। তবে আমদানীকৃত চীনা রসুন আগের চড়া দামেই অর্থাৎ ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আদা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৬০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে।

ডিমের বাজারে এ সপ্তাহে রয়েছে সুখবর। কয়েক সপ্তাহ ধরেই খামারের মুরগীর লাল ডিম বিক্রি হচ্ছিল ৩২ থেকে ৩৬ টাকা হালি দরে। আজ তা নেমে এসেছে ৩০ টাকায়। এছাড়া দেশি মুরগীর ডিম ৪০ থেকে ৪২ এবং হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা হালি দরে। তবে আগের চড়া দামেই অর্থাৎ ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগী। এছাড়া কক ও সোনালি ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। গরুর মাংস আগের মতোই ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় তেমন কোনো পরিবর্তন চোখে পড়েনি। ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি কেজি দেশি রুই মাছ আকারভেদে ১৮০ টাকা ২৮০ টাকা, আমদানিকৃত রুই ১৭০ থেকে ২৬০ টাকা, কাতলা আকারভেদে ২৭০ থেকে ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, চিংড়ি ছোট ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, বড় ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকা, কৈ ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, পাঙ্গাশ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, সিলভার কার্প ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, মাগুর ৭০০ থেকে ৮০০ এবং ইলিশ আকারভেদে ৪০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে মানভেদে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে। আর নাজিরশাইল ৪৮ থেকে ৫২ টাকা, মোটা চাল ৩২ থেকে ৩৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর প্রতি কেজি খোলা আটা ২৫ থেকে ২৮ টাকা, প্যাকেট ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা, খোলা ময়দা ৩২ থেকে ৩৪ টাকা, প্যাকেট ৪০ থেকে ৪৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। তবে কয়েক সপ্তাহ ধরে চড়া দামে বিক্রি হলেও কমতে শুরু করেছে মসুর ডালের দাম। দেশি চিকন মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২৮ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি দরে। আর আগের চড়া দামেই চিনি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ থেকে ৪৫৫ টাকায়। আর এক লিটারের দাম নেয়া হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা।