ডেপুটি গভর্নরদের সঙ্গে বৈঠকে আর্থিক বিভাগের সচিব

প্রকাশ: ২০১৬-০৩-১৩ ১৩:১০:৫৬


002_105429বাংলাদেশে ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরদের সঙ্গে বৈঠক করছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং ও আর্থিক বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম। হ্যাক করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ অর্থ সরিয়ে নেয়ার পর সরকারের কোনো শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের এটাই প্রথম বৈঠক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি।এর পরও গভর্নর ড. আতিউর রহমান এখন বিদেশ সফরে ব্যস্ত রয়েছেন। চার ডেপুটি গভর্নর হচ্ছেন আবুল কামেস, আবু হেনা মো. রাজী হাসান, এস কে সুর চৌধুরী এবং নাজনীন সুলতানা।আজ রবিবার সচিবালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ কোটি ডলার সরিয়ে নেয় চক্রটি। ফিলিপাইন ডেইলি ইনকোয়ার বলছে, নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে এই অর্থ ফিলিপাইনের ব্যাংকিং সিস্টেম থেকে নানা হাত বদল হয়ে সেটা বিভিন্ন জায়গায় চলে গেছে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ফিলিপাইনের ব্যাংকিং ইতিহাসে এত বড় মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনা এটাই প্রথম। অভিযোগ করা হচ্ছে, দেশটির স্থানীয় একটি ব্যাংক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং সিস্টেম এই অর্থ লেনদেনের ঘটনায় জড়িত।

নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে প্রথম অর্থ যায় যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি ব্যাংকে। এই ব্যাংকগুলো হচ্ছে, ব্যাংক অব নিউইয়র্ক, সিটি ব্যাংক এবং ওয়েলস ফার্গো ব্যাংকে। তারা এই অর্থ পাঠায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকে। পুরো ঘটনাটি এখন তদন্ত করে দেখছে ফিলিপাইনের সিনেট, ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এবং ফিলিপাইনের ‘এমিউজমেন্ট এন্ড গেমিং কর্পোরেশন’ যারা সেখানকার জুয়ার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে।

ফিলিপাইনের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে এই অর্থ কোথায় গেছে? এই চুরি যাওয়া অর্থ কিভাবে হাত বদল হয়েছে, ইনকেয়ারার পত্রিকা তার একটা মোটামুটি চিত্র দিয়েছে । পত্রিকাটির রিপোর্টে বলা হচ্ছে, রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে এই অর্থ তাদের ক্লায়েন্টদের মাধ্যমে চলে যায় স্থানীয় এক ফরেন এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীর কাছে।

সানবিডি/ঢাকা/আহো