বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে
প্রকাশ: ২০১৬-০৩-১৩ ১৮:২০:০০
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, অর্থ চুরির বিষয়টি তাকেসহ অন্যদের না জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘ধৃষ্টতা’ দেখিয়েছে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে মন্ত্রী এ হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি জানান, অর্থ চুরির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে তা সাংবাদিকদের জানানো হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ চুরির বিষয়টি দীর্ঘদিন অর্থমন্ত্রীকে না জানানোর বিষয়টি তিনি কীভাবে দেখছেন?
এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অর্থ চুরির পর দুই মাস অতিবাহিত হলেও আমাকে জানানো হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক সত্যিই ধৃষ্টতা দেখিয়েছে।’ অবশ্য অর্থমন্ত্রী গত ৮ মার্চ এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষেই সাফাই গেয়ে বক্তব্য দেন। তিনি এ অর্থ লোপাটে বাংলাদেশ ব্যাংকের দোষ নেই বলেও জানান।
সে সময়ে এ ঘটনায় প্রয়োজনে রিজার্ভ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। চার দিন পর এসে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ১০ কোটি ডলার চীনা হ্যাকাররা হাতিয়ে নেয় বলে সম্প্রতি ফিলিপাইনের একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। গত ৭ মার্চ চুরি যাওয়া অর্থের একটি অংশ উদ্ধারের দাবি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ জানিয়েছে এ বিষয়ে তাদের কোনো দায় নেই। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাইবার আক্রমণে ৩৫টি ভুয়া পরিশোধ নির্দেশের মাধ্যমে ৯৫ কোটি ১০ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৭ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা স্থানান্তরের প্রস্তাব পাঠানো হয়।
তার মধ্যে ৩০টি নির্দেশ আটকানো সম্ভব হয়। তাতে ৮৫ কোটি ডলার বেহাত হওয়া প্রতিহত করা গেছে। তবে পাঁচটি পরিশোধ নির্দেশের বিপরীতে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় ৮০৮ কোটি টাকা ফিলিপাইন ও শ্রীলংকায় চলে যায়। এর মধ্যে শ্রীলংকা থেকে ২ কোটি ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আর ফিলিপাইনে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস