ডাল আমদানিতে সমস্যা দেখছেন না অর্থমন্ত্রী
আপডেট: ২০১৬-০৩-১৫ ২১:৩০:৫৯
ডাল প্রডাকশনে (উৎপাদন) আমাদের কোনো জায়গা নেই। তাই ডাল আমদানিতে কোনো সমস্যা দেখছেন না বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বেশ কয়েকটি এনজির সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
অধিক টাকায় ডাল আমদানি ও দেশে খাদ্যের সমস্যা আছে বলে এনজিও প্রতিনিধি অভিযোগ করেন।
এসময় অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে খাদ্যের কোনো অভাব নেই। সব ধরনের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রয়েছে। তবে ডাল প্রডাকশনে (উৎপাদন) আমাদের কোনো জায়গা নেই। তাই ডাল আমদানিতে কোনো সমস্যা দেখছি না।
ওষুধের কাঁচামাল আমদানি ট্যাক্স কমানোয় অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ওষুধের কাঁচামাল আমদানির ট্যাক্স ২৫ শতাংশ কমানোয় আপনাকে ধন্যবাদ। এতে দেশে ওষুধের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি স্বাস্থ্য খাতে বাজেট কমিয়ে ভালো করেছেন। আমাদের যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অকারণে এখানে টাকা ঢেলে লাভ নাই। তবে স্বাস্থ্য খাতে যে বাজেট দেওয়া হচ্ছে তা পর্যাপ্ত না হলেও অপব্যবহার করা হচ্ছে। আপনি ডাক্তারদের চাকরি দিচ্ছেন; বেতন বাড়াচ্ছেন। কিন্তু তারা কেউ গ্রামে থাকছে না। তাদের গ্রামে অবস্থানের বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।
ওষুধের দাম কমানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন বাজারে একটা ক্যানসারের ওষুধের দাম ১৮‘শ টাকা। এই ওষুধের উৎপাদন খরচ ৫০০ টাকার বেশি হওয়ার কথা না। এ জন্য সরকারকে ১৯৮২ সালের ওষুধ নীতি অনুসরণ করে দাম কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। স্বাস্থ্যখাতকে উন্নত করতে বিনামূল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থার দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
নারী নেত্রী আয়েশা খানম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। ফলে কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ দরকার ।এজন্য ডে কেয়ার সেন্টার, যাতায়াতের জন্য পরিবহন ব্যবস্থাসহ যাবতীয় সুযোগ রাখা উচিত।
অক্সফামের প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৩১ শতাংশ যুব সমাজ। প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে এই যুব সমাজকে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, উৎপাদকরা বিশেষ করে কৃষকরা তাদের পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। এক কেজি ধান উৎপাদন করতে ২৩ টাকা খরচ হচ্ছে। অথচ, বিক্রি করতে হচ্ছে ১৪ টাকায়।
বাংলাদেশ একটি জলবায়ুপূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। তাই জলবায়ু মোকাবেলায় বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রাখার দাবি করেন এই উন্নয়ন কর্মী।
নগর গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিনিধি ড. নজরুল ইসলাম বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার আজ এতো উন্নয়ন- তার পিছনে রয়েছে গবেষণা। কোনো পদক্ষেপকে কার্যকর করার আগে গবেষণা প্রয়োজন। আমরা কৃষি খাতে সফল গবেষণার জন্য আজ দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় তিনি গবেষণা খাতে সরকারকে নজর দেওয়ার আহবান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিকল্পনা সচিব তরিকুল-ইসলাম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন,বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম, নারী নেত্রি প্রিয়ভাষিনি,মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি রীনা রায়, আশার প্রতিনিধি আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
সানবিডি/ঢাকা/আহো