অপহৃত ব্র্যাকের দুই কর্মকর্তা উদ্ধারে ‘জোর তৎপরতা’
প্রকাশ: ২০১৬-০৩-১৯ ১৬:১৭:৫১
আফগানিস্তানে অপহৃত ব্র্যাকের দুই কর্মকর্তা উদ্ধারে জোর তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে সিরাজুল ইসলাম ও হাজী শওকত আলীর স্বজনদের সঙ্গে সার্বাক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে ব্র্যাক কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে ব্র্যাকের জনসংযোগ শাখার ব্যবস্থাপক মাহবুবুল আলম কবির শনিবার বলেন, ব্র্যাকের কাবুল অফিস থেকে একটি টীম ইতোমধ্যে অপহৃতদের উদ্ধারে কুন্দুজ গেছেন। অন্যদিকে ঘটনাটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও আফগান সরকারের সংশ্লিষ্ট সবগুলো কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
অপহৃত দুই কর্মকর্তাকে উদ্ধারে জোর তৎপরতা চলছে দাবি করে মাহবুবুল আলম কবির বলেন, ‘পাবনায় অপহৃতদের পরিবারের সঙ্গেও ব্র্যাক কর্তৃপক্ষ সার্বাক্ষণিক যোগযোগ রাখছে।’
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ( শনিবার বেলা ২টা) পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয় কোন তথ্য জানাতে পারেনি।
ব্র্যাক কর্তৃপক্ষ জানান, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল চারটার দিকে কুন্দুজ থেকে বাগলান যাওয়া পথে বন্দুকধারীরা ব্র্যাকের আফগান শাখার কর্মকর্তা শওকত আলী ও সিরাজুল ইসলামকে অপহরণ করে। সঙ্গে থাকা আফগান কর্মকর্তাকে অপহরণকারীরা পরে ছেড়ে দিলেও বাংলাদেশি দুই কর্মকর্তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে।
ব্র্যাকের জনসংযোগ শাখার সূত্রে আরো জানা গেছে, আফগানের কোনো গোষ্ঠী এখন পর্যন্ত এই অপহরণের দায় স্বীকার করেনি। এমনকি অপহরণের পর কোনো দাবি বা মুক্তিপণ চেয়ে অপহরণকারীরা এখনো যোগাযোগ করেনি।
অপহৃত সিরাজুল ইসলামের বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার দুবলিয়া গ্রামে। বৃহস্পতিবার রাতে অপহরণের খবর জানার পর থেকে কান্না থামছে না তার স্ত্রী লতা খাতুনের। বাকরুদ্ধ বাবা-মা। অপহৃত অপরজন হাজী শওকতের বাড়ি পাবনার ফরিদপুর উপজেলায়। পরিবারের অভিযোগ, ব্র্যাক থেকে এখনো অপহৃত দুইজনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ তারা।
পারিবারের সদস্যরা জানান, সদর উপজেলার দুবলিয়া পুরাতন পাড়া গ্রামের এজেম উদ্দিন খানের দুই ছেলে, তিন মেয়ের মধ্যে তৃতীয় সন্তান সিরাজুল ইসলাম বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকে চাকরি করেন ১০ বছর ধরে। আর আফগানিস্তানে আছেন ২০১২ সালের শুরু থেকে। সর্বশেষ ছুটিতে গ্রামের বাড়ি এসে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ফিরে যান কর্মস্থল আফগানিস্তানে। দুই বছর আগে বিয়ে করলেও সন্তান নেই তাদের সংসারে। আর অপহৃত অপরজন হাজী শওকতের বাড়ি জেলার ফরিদপুর উপজেলার হাঙরাগাড়ি গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত মোস্তাক হোসেন। শওকতের মা ও স্ত্রী-সন্তান থাকে ঢাকার উত্তরায়।
সিরাজুলের ভাই আব্দুল খালেক খান বলেন, অপহরণের পর এখনো পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি ব্র্যাকের কেউ। সরকার ও দুই দেশের দূতাবাসের কাছে দাবি- যেন তার ভাইকে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনেন। ছেলে অপরহরণের খবর শুনে বাবা এজেম উদ্দিন খান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
হাজী শওকত আলীর ভায়রা আবু বকর সিদ্দিক জানান, অপহরণের ঘটনা তারা শুনেছেন। এরপর থেকে টেনশনে আছেন। তিনি জানান, শওকত আলীর মা, স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে সবাই ঢাকার উত্তরায় থাকেন। ফরিদপুরে কেউ থাকে না।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস