অর্থ পাচারের তথ্য নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব

প্রকাশ: ২০১৬-০৩-২০ ১৯:২৭:৫৫


GFI-Report-2015বাংলাদেশ থেকে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬ শতাংশেরও উপরে অর্থ পাচার হয় বলে জানিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। তবে বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অ‌ফি‌সের প্রধান অর্থনী‌তি‌বিদ ড. জা‌হিদ হোসেন মনে করেন, বছরে পাচার হওয়া অর্থের পরিমান জিডিপির ১ দশমিক ২ শতাংশের সমান।

রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা : বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ ‘ শীর্ষক এক সংলাপে এই দুই অর্থনীতিবিদ এ তথ্য দেন। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কর্মাস, বাংলাদেশ (আই‌সি‌সি) এ সংলাপের  আয়োজন করে।

ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ থেকে বছরে পাচার হওয়া অর্থের পরিমান জিডিপির ১ দশমিক ২ শতাংশের সমান।

এরপর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের জন্য চিন্তার বিষয় অর্থ পাচার হয়ে যাওয়া। এ বিষয়ে শেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী বছরে ৯০০ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। যা জিডিপির ৬ শতাংশেরও উপরে।

তবে বিশিষ্ট এই বিশ্লেষকরা এ বিষয়ে আর বিস্তারিত আলোচনা করেননি।

সংলাপে বক্তারা  জাতিসংঘ ঘোষিত ১৫ বছর মেয়াদি (২০১৬-৩০) টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের পথে অর্থ জোগান দেওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন।

সংলাপে প্রধান অ‌তি‌থি হিসেবে উপ‌স্থিত ছিলেন বা‌ণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. জা‌হিদ হোসেন।

আই‌সিসি‌বির সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপ‌তিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম, অর্থনী‌তি‌বিত অধ্যাপক ওয়া‌হিদউ‌দ্দিন মাহমুদ, ড. মুস্তফাকে মুজে‌রি, এম‌সি‌সিআইয়ের সভাপ‌তি না‌সিম মঞ্জুর, প্রাক্তন সভাপ‌তি রোকেয়া আফজাল রহমান, ঢাকা চেম্বারের প্রাক্তন সভাপ‌তি আ‌সিফ ইব্রা‌হিম, বি‌টিএমএ’র সভাপ‌তি তপন চৌধুরী, এফ‌বি‌সিসিআইয়ের সা‌বেক সভাপ‌তি এ কে আজাদ, মীর না‌সির হোসেন ও ইউএন‌ডি‌পি-বাংলাদেশের উপ প‌রিচালক নিক ব্রেসফরড।

সানবিডি/ঢাকা/রাআ