রাজস্ব প্রশাসনের নিয়োগ কেলেংকারিতে জড়িয়ে পড়েছেন খোদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান (এনবিআর) নজিবুর রহমান। যদিও তিনি নিজেকে একজন সৎ কর্মকর্তা বলে দাবি করেন। কিন্তু এ সংক্রান্ত তদবিরের অডিও রেকর্ড শুনলে যে কেউ হতবাক হবেন। তাকে নিয়ে ক্লিন ইমেজের যে প্রচারণা রয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
তথ্য-প্রমাণে দেখা গেছে, তিনি তার পদ ও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে রীতিমতো চূড়ান্ত হওয়া নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তনে নির্দেশনা দিচ্ছেন। তার পছন্দের প্রার্থীরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলেও তাদের চাকুরিই নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনেকে নানাভাবে হয়রানি হওয়ার আশংকায় নজিবুর রহমানের এমন অন্যায় তদবির মেনে নিলেও কেউ কেউ মেনে নিতে পারছেন না। এজন্য তাদের খেসারত দিতে হচ্ছে পদে পদে। ডাম্পিং পোস্টিং ছাড়াও তাদের নানাভাবে হয়রানি হতে হচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সার্বিক রাজস্ব আদায়ে।
অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে উচ্চমান সহকারীর ৩৬টি শূন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে মন্ত্রী, এমপি, আমলাদের প্রচণ্ড তদবির শুরু হয়। এই পদে নিয়োগ পেতে প্রার্থীপ্রতি ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকাও লেনদেন হয় বলে জানা গেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী চেয়ারম্যান নিজে ১১ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার জন্য তদবির করেন। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় তাদের বেশির ভাগই অকৃতকার্য হন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার হোসেন আহমদকে এনবিআরে তলব করেন। নিজ দফতরে তিনি কমিশনারকে ভর্ৎসনা করেন এবং প্রার্থীদের নাম ও রোল নম্বর উল্লেখ করে খাতার নম্বর পরিবর্তনের নির্দেশ দেন।
এ সময় প্রত্যুত্তরে কমিশনার চেয়ারম্যানকে বলেন, লিখিত পরীক্ষায় এসব পরীক্ষার্থী মাত্র ২৫ থেকে ২৭ নম্বর পেয়েছেন। অথচ সর্বোচ্চ ৭০ নম্বর প্রাপ্তদেরই মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হয়েছে। কিন্তু চেয়ারম্যান কোনো কথাই শুনতে নারাজ। তিনি প্রয়োজনে খাতায় নম্বর পরিবর্তন বা খাতা পরিবর্তনের মাধ্যমে হলেও তাদের নিয়োগ দিতে বলে সাফ জানিয়ে দেন। ফেল করা প্রার্থীকে ৭০ নম্বর দিতে হলে পুরো খাতা ফের নতুন করে লিখতে হবে। আর তা হবে এক ধরনের জালিয়াতি। কাস্টমস কমিশনারের এমন গাঁইগুঁই আপত্তিতে নজিবুর রহমানের কড়া নির্দেশ ‘এটা করতেই হবে। উই আর আন্ডার ইন্সট্রাকশন।’
প্রসঙ্গত, সংশ্লিষ্ট কমিশনার ও এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের মধ্যে এ সংক্রান্ত কথোপকথনের ভয়েস রেকর্ড রয়েছে। এদিকে শেষ পর্যন্ত এনবিআর চেয়ারম্যানের অনৈতিক চাপ সাহসের সঙ্গে উপেক্ষা করেন কমিশনার হোসেন আহমদ। এরপরই খোঁড়া অজুহাতে নিয়োগ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়া হয় এনবিআর থেকে। এ অবস্থায় কমিশনার তা মানতে বাধ্য হন। এরপর এই নিয়োগ বিতর্কিত করতে কমিশনারের বিরুদ্ধে সাজানো কিছু অভিযোগ এনে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট একজন কমিশনার স্বীকার করেন, ‘পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে চেয়ারম্যান নিজে তাকে ডেকে তালিকা ধরিয়ে দেন, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক। এ সুযোগে সংশ্লিষ্টরা আরও অনেক বেশি প্রার্থী নিয়োগে অনিয়মের সুযোগ নেন।’ তিনি জানান, ‘উচ্চমান সহকারীর এই পদে নিয়োগে জনপ্রতি ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় বলে শুনেছি। আমার কাছেও এমন প্রস্তাব এসেছে। অনেক সময় মন্ত্রী-এমপিরা লিখিতভাবে সুপারিশ করেন। অনেকে ফোন করেও চাপ দেন। এ ধরনের তদবির উপেক্ষা করার নৈতিকতা বা সাহস রাজস্ব প্রশাসনের অনেকেরই নেই।’
দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম কাস্টমসে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার প্রাক্কালে এনবিআরের নির্দেশে ২২ আগস্ট নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এখন আবার নতুন করে নিয়োগ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এনবিআর থেকে বলা হয়েছে, এই নিয়োগ পরীক্ষায় পাস নম্বর হবে ৭০-এর স্থলে ৫০। সংশোধিত নম্বর অনুযায়ী নতুনভাবে মৌখিক পরীক্ষা নিতে হবে। আর তদবিরের প্রার্থীদের চাকরি নিশ্চিত করতেই এই অপকৌশলের আশ্রয় নেয়া হয়েছে বলে সূত্র দাবি করেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৭০ নম্বরের বেশি নম্বর পেয়েছেন ১৮০ জন। এখন পাস নম্বর ৫০ করা হলে কয়েক হাজার প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নিতে হবে। কিন্তু সবকিছুই হবে সাজানো। বাস্তবে নিয়োগ দেয়া হবে তদবিরের নির্দিষ্ট প্রার্থীদের। এতে প্রতারিত হবেন যোগ্য ও মেধাবীরা। এভাবে গুরুত্বপূর্ণ এসব পদে মেধাহীনদের নিয়োগ দিয়ে রাজস্ব প্রশাসনের ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার হোসেন আহমদ প্রথমে এনবিআর চেয়ারম্যানের তদবিরের কথা অস্বীকার করেন। চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার কথোপকথনের রেকর্ড আছে জানানো হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ সময় তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, চেয়ারম্যান তাকে এনবিআরে ডেকে নিয়ে তদবিরের কয়েকজন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার কথা বলেছিলেন। ভয়েস রেকর্ডের বক্তব্য তার এবং চেয়ারম্যানের বলেও তিনি স্বীকার করেন। শুধু এনবিআরই নয়, নিয়োগে মন্ত্রী-এমপিদেরও অনেক তদবির ছিল বলে তিনি জানান।
সূত্র আরও জানিয়েছে, চট্টগ্রাম ছাড়াও ঢাকাস্থ ভ্যাট এলটিইউর উচ্চমান সহকারীসহ বিভিন্ন শূন্যপদে নতুন নিয়োগেও এনবিআরের চেয়ারম্যানের একাধিক তদবির ছিল। কিন্তু এলটিইউ কমিশনার শাহনাজ পারভীন অনিয়মের মাধ্যমে কাউকে নিয়োগ দিতে রাজি হননি। তিনি স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এ কারণে এই দক্ষ নারী কমিশনারকে এনবিআরের সদস্যপদে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে না। সিনিয়র এই কমিশনারকে পদোন্নতি না দেয়ায় এনবিআরের সদস্যপদ কয়েক মাস ধরে শূন্য রয়েছে। একইভাবে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট ঢাকা দক্ষিণের কমিশনার ইসমাইল হোসেন সিরাজীও এনবিআর চেয়ারম্যানের তদবির অনুযায়ী পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা অধিকাংশই লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। এনবিআর চেয়ারম্যানের সুপারিশ করা নয়জন প্রার্থীর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেটে মাত্র তিনজন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এ অপরাধে নিয়োগের কয়েক মাসের মাথায় কমিশনারকে শাস্তিমূলক অন্যত্র বদলি করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা স্বীকার করেন, উচ্চমান সহকারীর পদ ছিল মাত্র ৩৬টি। কেবল সরকারদলীয় মন্ত্রী-এমপি ও নেতাদের কাছ থেকেই আসে দুই শতাধিক ডিও লেটার। আবার এনবিআর চেয়ারম্যান নিজেই দিয়েছেন ১১ জনের তালিকা। যাদের অধিকাংশই লিখিত পরীক্ষায় ফেল করেন। কমিটির ওপরে চাপ ছিল, আগাম প্রশ্ন জানিয়ে বা খাতা পরিবর্তন করে হলেও এসব প্রার্থীকে পাস করাতে হবে। এ ক্ষেত্রে যত ধরনের অনিয়ম-জালিয়াতি বা টেম্পারিং করা যায় প্রয়োজনে তা করেই নিয়োগ দিতে বলা হয়।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তদবির উপেক্ষা করে অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে কাস্টম হাউসে উচ্চমান সহকারীর ৩৬টি শূন্য পদে লোক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন করে। এই নিয়োগে ৭০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষা এবং ৩০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত বছরের ২১ আগস্ট উচ্চমান সহকারীর ৩৬টি শূন্যপদে লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়। ২৩ হাজার ৪০০ প্রার্থী আবেদন করলেও লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ১০ হাজার ৮০০ জন। কাস্টমস কমিশনারের নেতৃত্বে নিয়োগ কমিটি গত বছরের ২১ আগস্ট ভোরে পরীক্ষার নির্ধারিত দিন প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষা সম্পন্ন করে। ওইদিন মধ্যরাতে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। দেখা যায়, ৭০ নম্বরের বেশি নম্বর পেয়ে মাত্র ১৮০ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। পরদিন ২২ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার তারিখ ঘোষণা করা হয়।
এদিকে এনবিআর চেয়ারম্যানের একাধিক প্রার্থীসহ মন্ত্রী-এমপিদের সুপারিশের অধিকাংশ প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় ফেল করায় জটিলতা দেখা দেয়। ফলাফল বাতিল করে নতুনভাবে পরীক্ষা নেয়ার জোরালো তদবির শুরু হয়। এনবিআর চেয়ারম্যান নিজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন, কেন তার তালিকার প্রার্থীরা লিখিত পরীক্ষায় ফেল করেছে। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
দেখা যায়, চেয়ারম্যান বা মন্ত্রী-এমপিদের তদবিরের প্রার্থীদের লিখিত ফল খুবই খারাপ। ২৫ থেকে ৩৫ পর্যন্ত অধিকাংশের নম্বর। যেখানে পাস নম্বর ছিল ৭০। কিন্তু কমিশনার অনিয়ম করতে অস্বীকৃতি জানানোয় তুচ্ছ অজুহাতে মৌখিক পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগেই এনবিআর থেকে পুরো নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার হোসেন আহমদ বলেন, পরীক্ষা শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ করতেই তিনি পরীক্ষার দিন সকালে প্রশ্নপত্র প্রিন্ট করানোর ব্যবস্থা করেন। রাত ১০টার মধ্যে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন ও মধ্যরাতে ফল প্রকাশের ব্যবস্থা করেন। যাতে তদবিরে অনৈতিক নিয়োগ করতে না হয়। ফোন বন্ধ রাখেন যাতে রাজনৈতিক বা অন্য কোনো চাপ না আসে। মেধাশূন্য কেউ যাতে তদবিরের চাপে গুরুত্বপূর্ণ রাজস্ব খাতে না আসতে পারেন।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এনবিআরের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে তিনি গুড অফিসার ছিলেন পরীক্ষা নেয়ার আগ পর্যন্ত। যেই তিনি লোক নিয়োগের তদবির রাখেননি, স্বচ্ছতার মাধ্যমে নেয়া পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবীদেরই নিয়োগ দেয়ার পক্ষে অটল থাকেন। তাদের তদবির উপেক্ষা করেন। আর তখন তিনি হয়ে গেছেন সবচেয়ে খারাপ বা ‘ওয়েস্ট’ অফিসার। যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ পদটিতে আজ পর্যন্ত কাউকে নিয়োগ দেয়া যায়নি। এতে রাজস্ব আদায় কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
নজিবুর-কমিশনার কথোপকথন
(লিখিত পরীক্ষার ফল পরিবর্তন করতে চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনারের সঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের কথোপকথনের একাংশ…)
নজিবুর রহমান : নিয়োগের নেক্সট স্টেপ কি?
কমিশনার : কাস্টমস ট্যাক্স সব জায়গায় প্রাকটিস আছে ৫০ শতাংশ নম্বর যারা পেয়েছে তাদের আমরা ভাইভায়…
নজিবুর রহমান : শাহরিয়ার রহমান মল্লিক, পিতা- মজিবুর রহমান মল্লিক। পোস্ট ছিল হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট। রোল ১৭৮২৩… আর (অস্পষ্ট)। কি অবস্থা… কি?
কমিশনার : রেজাল্ট পাবলিশড হয়ে গেছে। ক্যান্সেল করে নতুন পরীক্ষা নিলে সমস্যা আছে। কেউ যদি মামলা করে দেয়…।
নজিবুর রহমান : ও কত পেয়েছে?
কমিশনার : ২৫ কি ২৭ নম্বর পেয়েছে স্যার।
নজিবুর রহমান : কন্সিডার করো।
তৃতীয় ব্যক্তি : ৩৫ হচ্ছে আমাদের পাস মার্কস। আমরা তাদের পাসের আওতায় এনে ভাইভার সময় প্রসেস করব…
নজিবুর রহমান : হ্যাঁ করে দাও। নম্বর বাড়াও…
কমিশনার : এমসিকিউতে পরীক্ষা তো স্যার, তাই একটু… এ নিয়ে সিরিয়াস কথা হইছে…
নজিবুর রহমান : কোথায়? … না করে দাও।
কমিশনার : এ নিয়ে আপত্তি… (অস্পষ্ট)
নজিবুর রহমান : এটা আপত্তি না অনাপত্তি
কমিশনার : আপত্তি স্যার… এটা কনফার্ম করছে।
নজিবুর রহমান : তাই নাকি? কিন্তু পাস করাতেই হবে।
কমিশনার : এটা কি ঠিক হবে স্যার, খাতা পরিবর্তন…?
নজিবুর রহমান : এটা করতে হবে। উই আর আন্ডার ইন্সট্রাকশন।
কমিশনার : তাহলে উনাকে ডাকেন (তৃতীয় ব্যক্তি)।
চেয়ারমান তৃতীয় ব্যক্তিকে ডেকে : পিএস-১-এর সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে ওদেরসহ দেখা করো…।
(জানতে চাইলে কমিশনার হোসেন আহমদ স্বীকার করেন, কয়েকজন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার জন্য চেয়ারম্যান তাকে ঢাকায় তলব করেন। এ বিষয়ে কথা বলতে প্রথমে অস্বীকার করেন হোসেন আহমদ। ভয়েস রেকর্ড শুনানো হলে কমিশনার অবাক হয়ে এক পর্যায়ে স্বীকার করেন, সব ঘটনাই সত্য। তদবিরের অনেক প্রার্থী ছিল। এ নিয়ে আমার সঙ্গে চেয়ারম্যানের কথা হয়েছে। কিন্তু এই ভয়েস রেকর্ড করল কে? আপনি কিভাবে পেলেন? তিনি বিনীতভাবে অনুরোধ করেন, এই রেকর্ড যাতে প্রকাশিত না হয়, তাহলে তার বড় ক্ষতি হবে…। এমনিতেই তিনি চেয়ারম্যানের বিরাগভাজন হয়ে আছেন।) সূত্র: যুগান্তর