দাবী ফ্লোর প্রাইজ অথবা ২% সার্কিট

ফোর্স সেলের আতঙ্কে এসএমইর বিনিয়োগকারীরা

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২২-১১-০২ ১০:৩১:৪৭


ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের সহজে টাকা সংগ্রহ করার জন্য দেশের পুঁজিবাজারে এসএমই প্লাটফর্ম চালু করেছে নিয়নন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। লেনদেন চালু হওয়ার থেকে ভালোভাবেই চলছিলো এই প্লাটফর্ম।

তবে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ আঘাত হেনেছে এই মার্কেটে। এখন ফোর্স সেলের আতঙ্কে দিন কাটছে পুঁজিবাজারের এসএমই খাতের বিনিয়োগকারীদের। তাদের দাবী এর থেকে বাঁচাতে হলে প্রয়োজন ফ্লোর প্রাইজ অথবা ২ শতাংশ সার্কিট। এটি না হলে পুঁজি হারিয়ে রাস্তায় বসতে হবে তাদের। তারা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির একটু সুনজর পেলেই তারা আবার উঠে দাঁড়াতে পারবেন। অন্যথায় তাদের সব শেষ হয়ে যাবে।

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারী আবু সায়েদ সানবিডিকে বলেন, অনেক দিন যাতব আমি পুঁজিবাজারের সাথে আছি। আমি মূল মার্কেটের সাথে এসএমই মার্কেটেও লেনদেন করছি। মূল মার্কেটে ফ্লোর প্রাইজ থাকার কারণে আমার মূলধন এক জায়গায় আছে। কিন্তু এসএমইতে এটি নাই বলে আমি এখন ফোর্স সেলের আতঙ্কে আছি। আমার পোর্টফলিও অবস্থা অনেক নাজুক।

তিনি বলেন, লোকসান করতে করতে আমি শেষ। অন্য জায়গা থেকে টাকা এনে দেওয়ার মতো অবস্থাও নেই। বিএসইসির সুনজর এসএমই প্লাট ফর্মে পড়লে হয়তো আমি একটু রক্ষা পাবো।

আরেক বিনিয়োগকারী আশরাফুল আলম সানবিডিকে বলেন, এসএমই খাতে ইতিবাঁচক পরিবর্তন হওয়ার কথা শুনে আমি বিনিয়োগ করেছি। কিন্তু আমি পুঁজি হারিয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছি। বিএসইসিই চাইলেই আমাদেরকে রক্ষা করতে পারে। আমরা চাই মূল মার্কেটের মতো এখানেও ফ্লোর প্রাইজ।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বরে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটের ৪১টি কোম্পানিকে এটিবি এবং এসএমই মার্কেটে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। ৩০ সেপ্টেম্বর প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এসএমই মার্কেটের লেনদেন শুরু হয়।

পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন 

Sunbd Newsক্যাপিটাল নিউজক্যাপিটাল ভিউজস্টক নিউজশেয়ারবাজারের খবরা-খবর