জ্বালানির দাম ও ভর্তুকি নির্ধারণপদ্ধতি জানতে চেয়েছে আইএমএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-১১-০৬ ২১:৩০:১৫


বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম কী পদ্ধতিতে নির্ধারণ করা হয়, এই খাতের ভর্তুকির বিষয়টি কীভাবে বিবেচনা করা হয়– এসব বিষয় বিইআরসির কাছে জানতে চেয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। রোববার (৬ নভেম্বর) প্রায় দুই ঘণ্টা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) অফিসে অবস্থান করে আইএমএফ প্রতিনিধি দল।

দলের এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে চার সদস্যের দলটি বিইআরসির জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ এবং ভর্তুকির বিষয়ে তথ্য জানতে চায়। এ সময় বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সদস্য আবু ফারুকসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিইআরসি সূত্র জানায়, আমরা দাম কীভাবে নির্ধারণ করি, কয়েকবার দাম নির্ধারণ করতে পারি কিনা এসবসহ বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়েও তারা আলোচনা করেছেন। কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র পাইপলাইনে আছে, কিছু কমিশনিং হবে খুব শিগগিরই, এসব বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এছাড়া বিইআরসির অধীনে গঠিত তহবিলগুলোর বিষয়েও জানতে চায় প্রতিনিধি দলটি।

এক কর্মকর্তা জানান, তারা কোনও পরামর্শ দেয়নি। তারা শুধু আমাদের কাছে তথ্য জানতে চেয়েছে। আমাদের ডিসপিউট সেটেলমেন্ট সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে আমরা আমাদের পদ্ধতি তাদের সামনে তুলে ধরি। তারা জানতে চায় আমরা সব কস্ট যোগ করি কিনা। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, যৌক্তিক কস্টগুলো বিবেচনা করা হয়। সাবসিডির বিষয়ে বলা হয়, যদি সাবসিডি থাকে তাহলে তা কস্ট থেকে বিয়োগ দিয়ে দেই।

তহবিলের বিষয়ে কমিশন জানিয়েছে, এই তহবিলের টাকা কিছু প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে, কিছু এলএনজি কেনায় যাচ্ছে। আবার সম্প্রতি রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঞ্চালন লাইনের রিভার ক্রসিং কাজের জন্যও প্রায় ১২০০ কোটি টাকা দিয়েছে কমিশন তহবিল থেকে। পিডিবিকে এই টাকা দেওয়া হয়।

বিইআরসি বিনিয়োগকারী এবং সরকারের মধ্যে কোনও ঝামেলা সৃষ্টি হলে তা নিরসন করে। এজন্য বিইআরসিতে একটি সালিশি ব্যবস্থা রয়েছে। বিইআরসি এবং চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ওই সালিশি কমিটি গঠন করা হয়। এতে কমিশনের অন্য সদস্যরাও থাকে। এই কমিটির কাজের বিষয়েও আইএমএফ বিস্তারিত জানতে চেয়েছে বলে সূত্র জানায়।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ অক্টোবর আইএমএফের দলটি বাংলাদেশে এসেছে। ২ নভেম্বর পিডিবি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে আইএমএফের দলটি। ৩ নভেম্বর জ্বালানি বিভাগ ও পেট্রোবাংলার সঙ্গে সভা করেছে তারা।

সফরকারী দলটি ১৫ দিনের সফরে সরকারের নীতিনির্ধারক এবং অংশীজনদের সঙ্গে আরও বৈঠক করবে বলে জানা যায়।

এএ