বৈশ্বিক খাদ্যশস্য উৎপাদন কমতে পারে ৩ কোটি ৩০ লাখ টন
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-১১-২১ ১১:৫৯:০৯
চলতি ২০২২-২৩ বিপণন মৌসুমে ফের খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন, ব্যবহার, সমাপনী মজুদ ও বাণিজ্য কমার আভাস মিলেছে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইনস কাউন্সিল (আইজিসি) এ পূর্বাভাস দিয়েছে।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়, এ মৌসুমে খাদ্যশস্যের (গম ও দানাদার শস্য) বৈশ্বিক উৎপাদন ৩ কোটি ৩০ লাখ টন কমতে পারে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ২২৫ কোটি ৫০ লাখ টনে। আগের তুলনায় উৎপাদন পূর্বাভাস ১ শতাংশ কমানো হয়েছে।
এ মৌসুমে গম, যব ও জই উৎপাদন বাড়লেও ভুট্টা ও সরগাম (এক ধরনের শস্য) উৎপাদন কমবে ব্যাপক হারে। এটি বৈশ্বিক শস্য উৎপাদনকে নিম্নমুখী করে তুলতে ভূমিকা রাখবে।
গত মৌসুমের তুলনায় ভুট্টা উৎপাদন ৫ কোটি ৩০ লাখ ও সরগাম উৎপাদন ১০ লাখ টন কমবে। অন্যদিকে গম উৎপাদন এক কোটি টন, যব উৎপাদন ৬০ লাখ ও জই উৎপাদন ২০ লাখ টন বাড়বে। এছাড়া অন্যান্য দানাদার শস্য উৎপাদন ৩০ লাখ টন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক ব্যবহার দাঁড়াবে ২২৭ কোটি ২০ লাখ টনে। গত মৌসুমের তুলনায় ব্যবহার ১ শতাংশ কমতে পারে। ২০১৫-১৬ বিপণন মৌসুমের পর এবারই প্রথম খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক ব্যবহার কমার আভাস মিলেছে। মূলত পশুখাদ্য উৎপাদন ও শিল্প খাতে নিম্নমুখী চাহিদা ব্যবহার কমে যাওয়ার পেছনে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করবে।
এদিকে মৌসুমের শেষ নাগাদ শস্যের মজুদ দাঁড়াতে পারে ৫৮ কোটি টনে, যা আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত মৌসুমের তুলনায় মজুদ ১ কোটি ৬০ লাখ টন কমতে পারে। এ নিয়ে টানা ছয় বছর নিম্নমুখিতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সমাপনী মজুদ। সব ধরনের শস্যের মধ্যে ভুট্টার মজুদ কমে এক দশকের সর্বনিম্নে অবস্থান করছে। প্রধানত এ কারণেই সার্বিক মজুদ পরিস্থিতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
চীন, কানাডা, তুরস্ক ও ব্রাজিলে আমদানি কমে যাওয়ার কারণে চাপের মুখে পড়েছে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক বাণিজ্যও। গত মৌসুমের তুলনায় বাণিজ্য ৪ শতাংশ কমতে পারে।
এনজে